দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে কথিত জঙ্গি আস্তানায় ভারতীয় বিমান হামলার বিষয়ে দুটি দেশই ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে। দিল্লি বলছে যে, তাদের এই আকস্মিক অভিযানে জইশ-ই-মোহাম্মদের বহু সদস্যকে তারা হত্যা করেছে।
পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে কথিত জঙ্গি আস্তানায় ভারতীয় বিমান হামলার বিষয়ে দুটি দেশই ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে। দিল্লি বলছে যে, তাদের এই আকস্মিক অভিযানে জইশ-ই-মোহাম্মদের বহু সদস্যকে তারা হত্যা করেছে।
কাশ্মীরে ভারতীয় সৈন্যদের ওপর আরও জঙ্গি হামলা চালানো হতে পারে- এমন সন্দেহেই তারা জঙ্গি গ্রুপটির ওপর হামলা চালিয়েছে।
অপরদিকে পাকিস্তান বলছে যে, খোলা মাঠে চালানো এই হামলায় কেওই হতাহত হয়নি। পাকিস্তানের ভেতরে ভারত বিরোধী জঙ্গিরা তৎপর- দিল্লির এমন অভিযোগও অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তান বলছে যে, সময় মতো তারাও এই হামলার জবাব দেবে। দুটি দেশের প্রতি সংযম প্রদর্শনের আহবান জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও চীন।
হামলা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের বক্তব্য এমন:
ভারত বলছে, ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৩টার সময় বেশ কিছু ভারতীয় ফাইটার জেট (প্রধানত মিরাজ ২০০০, সম্ভবত সংখ্যায় ১২টি) কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের দিকে ঢোকে।
দিল্লির দাবী হলো, তাদের আক্রমণের নিশানা ছিল খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটের কাছে জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রশিক্ষণ শিবির। পাহাড়ি এলাকায় এই শিবিরটি নিয়ন্ত্রণ রেখা হতে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে।
মোটামুটিভাবে ২১ মিনিটের মতো ভারতীয় বিমানগুলো পাকিস্তানের আকাশ-সীমার ভেতরে ছিল বলে দাবি করেছে ভারত।
কিছুক্ষণের মধ্যেই পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর বেশ কয়েকটি বিমান ভারতীয় বিমানগুলোকে পাল্টা ধাওয়া করে। তবে ভারতীয় বিমানগুলো সবই অক্ষত অবস্থায় দেশে ফিরেছে।
দেশে ফেরার আগে ভারতীয় জেটগুলো তাদের বয়ে নিয়ে যাওয়া বোমা পাকিস্তানের মাটিতেই ফেলে। তবে পাকিস্তান বলছে, তাদের তাড়া খেয়ে ভারতীয়রা খোলা জায়গাতেই ওগুলো ফেলে পালিয়েছে – অপরদিকে ভারতের বক্তব্য হলো, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতেই সফলভাবে বোমাবর্ষণ করা হয়।
১৯৭১ সালের যুদ্ধের ৪৮ বছর পর এই প্রথম পাকিস্তানের আকাশ-সীমার ভেতর ভারত এবং পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান পরস্পরের মুখোমুখি হলো। ২০ বছর আগে কার্গিলের যুদ্ধে ভারত অন্তত ঘোষিতভাবে পাকিস্তানের আকাশ-সীমা কখনও লঙ্ঘন করেনি।
উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত ও পাকিস্তানের এই মধ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা নিয়ে পুরো বিশ্বই যেনো এক আশংকার মধ্যে রয়েছে। কারণ হলো সব সময়ই এই দেশ দুটি একে অপরের বিরুদ্ধে থাকে।
This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০১৯ 11:09 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় অজান্তেই ঘটে যাওয়া কিছু ভুলে এমন সমস্যাও দেখা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বছরের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ২ জানুয়ারী ওটিটি প্লাটফর্ম বঙ্গ-তে মুক্তি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে ওষুধ কিনে খেলে লাভের চেয়ে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), দেশের আইটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে যে, অবশেষে গাজায় চলমান সহিংসতা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৮ ডিসেম্বর কর্নাটকের সক্লেশপুরের হাদিগে গ্রামে…