দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশ মোজাম্বিকে ১৭৭ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানা ভয়াবহ এক ঘূর্ণিঝড়ে শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট ফিলিপ নিউসি বলেছেন, বৃহস্পতিবার আঘাত হানা ওই ‘সাইক্লোন আইডাই’তে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় আইডাই গত বৃহস্পতিবার মোজাম্বিকের বন্দরনগরী বেইরা’তে আঘাত হানলেও উদ্ধারকারী দলগুলো ৩ দিন পর রবিবার সেখানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকারীরা যখন পৌঁছেন তখনও সেখানে জোরেসোরে বাতাস বইছিল ও নদীগুলো উত্তাল ছিলো এবং নদীর পানি দুই কূল উপচে পড়ছিল।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কংক্রিটের তৈরি বহু ভবনের ছাদ উড়ে গেছে ও এসব ভবনের ভেতরে মানুষসহ কোনোকিছুরই অস্তিত্ব খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না।
কর্মকর্তারা এ পর্যন্ত মোজাম্বিকে ৮৪ জনের লাশ খুঁজে পেয়েছেন তবে নিখোঁজ রয়েছেন আরও শত শত মানুষ। আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য দেশ মিলিয়ে এই ঘূর্ণিঝড়ে এই পর্যন্ত অন্তত ৩০০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
বেইরা শহর পরিদর্শনের পর প্রেসিডেন্ট নিউসি বলেছেন যে, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ এবং তিনি বন্যার পানিতে লাশ ভেসে যেতেও দেখেছেন।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস এন্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইএফআরসি) এই ঘূর্ণিঝড়কে ‘ভয়াবহ এবং ভয়ঙ্কর’ বলে বর্ণনা করেছে।
প্রতিবেশী দেশ জিম্বাবুয়েতে এ পর্যন্ত ৯৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনও ২১৭ ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। প্রতিবেশী আরেকটি দেশ মালাবি’তে ঘূর্ণিঝড়ের আগে প্রবল বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ১২২ জনের মৃত্যু ঘটেছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে।