জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জয়ের জিডি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইমোতে হত্যার হুমকি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। তিনি ২ এপ্রিল জিডি করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইমোতে হত্যার হুমকি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। তিনি ২ এপ্রিল জিডি করেছেন।

নিজের জীবন নাশের হুমকি দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে একটি ফেসবুক আইডি হতে দেওয়া ভিডিও বার্তায় অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় জানিয়েছেন যে, জীবন বাঁচাতে তিনি রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান।

প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের থানায় জিডি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিসি নাজমুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়কে হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হতে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ফেসবুক আইডি ডিজঅ্যাবল হওয়ায় তিনি আমাদের কাছে অভিযোগও করেছেন। অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়কে যে হত্যার হুমকি দিয়েছে সেটি মোবাইলে রেকর্ড রয়েছে। আমরা তার অভিযোগটিও শুনেছি। এই বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

তিনি আরও বলেন, কে বা কারা হত্যার হুমকি দিয়েছে বা কী কারণে হুমকি দিয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। আমরা এই বিষয়টি দেখছি। জয়ের আইডি উদ্ধার করারও চেষ্টা চালাচ্ছি।

উল্লেখ্য যে, গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানী অগ্নিকাণ্ডে পানির পাইপ চেপে ধরে হিরো হয়ে যায় শিশু নাঈম ইসলাম। তাকে নিয়ে একটি সাক্ষাৎকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। নাঈমের কাজে খুশি হয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক বাংলাদেশী তাকে ৫ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেন। নাঈম পুরস্কারের ওই টাকাগুলো নেবে কিনা? আর নিলেও সেই টাকা কিসে খরচ করবে? এমন প্রশ্ন করেন উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। জবাবে নাঈম জানায়, সেই টাকাগুলো সে এতিমখানার অনাথ শিশুদের জন্য দান করে দিতে চায়। ছেলের এই জবাবে সায় দেন তার মা-বাবাও।

এতিমখানায় কেনো টাকা দিতে চায় এমন প্রশ্নের উত্তরে নাঈম বলেন যে, কিছু বছর আগে খালেদা জিয়া এতিমের টাকা লুট করে খেয়েছেন, তাই এই টাকা তিনি এতিমদেরই দিতে চান। এই বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর হতে একের পর এক হত্যার হুমকি আসতে থাকে বলে শাহরিয়ার নাজিম জয় তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।