দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মকভাবে অবনতি ঘটেছে। ভারি বৃষ্টিপাত ও অব্যাহত পাহাড়ি ঢলে গত কয়েক দিনে দেশটির বেশির ভাগ নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৭০ জন।
ইরানের প্রতিকূল আবহাওয়া ও বৃষ্টির পূর্বাভাসে শনিবারও বন্যার ঝুঁকিতে থাকা বহু গ্রাম এবং শহর খালি করা হয়েছে।
গত ১৯ মার্চ শুরু হওয়া আকস্মিক বন্যায় দেশটির সকল নদী ও খাল উপচে বন্যার পানি পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোকে ডুবিয়ে দিয়েছে। বন্যার পানির তোড়ে ৩টি পানি নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। ইরানের মোট ৩১টি প্রদেশের মধ্যে অন্তত ২২ প্রদেশেই মারাত্মক বন্যা দেখা দিয়েছে।
তেলসমৃদ্ধ খুজেস্তান প্রদেশের নদীর বাঁধ খুলে দেওয়ার পর গতকাল (শনিবার) সুসানগার্দ শহরের ৭০টি গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়। সুসানগার্দ শহরের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বর্তমানে বন্যা ঝুঁকিতে রয়েছেন। তেলসমৃদ্ধ এই অঞ্চলের জ্বালানি কোম্পানিগুলো পানি অপসারণের জন্য পাম্প ব্যবহার এবং ত্রাণ তৎপরতায় সহায়তা করছে।
ইরানের সেনাবাহিনী দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর পানি দ্রুত কাস্পিয়ান সাগরের দিকে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে শনিবার হতে ভারি ড্রেজার মেশিন চালু করেছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বন্যাকবলিতদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব সরকারের। তার সরকার এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।