দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবহাওয়ার তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানবদেহের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে সেটিই স্বাভাবিক ঘটনা। তাই এই সময় গরমে শীতল থাকার কয়েকটি উপায় জেনে নিন।
এই গরমের সময় কেও যদি নিজের দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার কৌশল আয়ত্ত করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই সম্ভব অসুস্থতার হাত থেকে রেহাই পাওয়া। আজ সেই বিষয়গুলো জেনে নিন।
# আয়ুর্বেদ মতে, গরমকালে মানুষের পিত্ত সাধারণতভাবে তীব্র হয়ে ওঠে। তাই শরীরে শীতলভাব বজায় রাখতে হলে সবার আগে পিত্তবর্ধক খাবারগুলিকে বর্জন করতে হবে। শীতের দিনের সবজি যেমন গাজর, ফুলকপি, বিট, বাঁধাকপি খাদ্য তালিকা হতে বাদ দিন গ্রীষ্মের খাদ্যতালিকা হতে। বদলে রাখুন শসা, ঝিঙা, পটল, কুমড়া, এঁচড়ের মতো সবজি এবং তরমুজ, ফুটি, বেল, আপেল ইত্যাদি ফলও। আমও খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। প্রতিটি ফল ও সবজিতেই পানির পরিমাণ বেশি থাকে, এগুলো শরীর শীতল রাখবে। সেইসঙ্গে দইয়ের ঘোল, ডাবের পানি ইত্যাদি খেতেও ভুলবেন না কিন্তু। চিজ, তেল-মশলা, ভাজাভুজি, বেশি মরিচ, কমলালেবু ইত্যাদি যতোটা কম খাবেন, ততোই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
# খাওয়ার মাঝখানে খুব বেশিক্ষণের গ্যাপ দেবেন না। খালি পেটে অ্যাসিড, পিত্ত সবেরই বাড়াবাড়ি ঘটে থাকে। দিনের মাঝখানে (অর্থাৎ দুপুরের খাবার) সবচেয়ে ভারী খাবার খান, রাতের দিকে হালকা খাওয়ায় ভালো। বেশি করে স্যালাড ও ফলমূল খাওয়া উচিত গরমের এই সময়।
# মাথায় ও গায়ে খাঁটি নারকেল তেল মেখে গোসল করতে ভালো হয়, আপনার ত্বকে হিট র্যাশ বেরনোর মাত্রা নিশ্চিতভাবেই কমে আসবে। নারকেল তেল সানস্ক্রিন হিসেবেও কাজ করে থাকে, তাই নিরক্ষীয় অঞ্চলে তার বহুল ব্যবহারও দেখা যায়।
# গরমের দিনে এমনিতেই চা-কফি খেতে খুব একটা ইচ্ছে করে না। তা্ই ঘরের এমন তাপমাত্রায় শরবত খান। বরফ-ঠাণ্ডা পানীয় থেকেও দূরে থাকুন, তাতে করে শরীর কিছুটা গরম হয়।
# দুঃসহ গরমের কারণে ঘামের সঙ্গে শরীর হতে বেরিয়ে যায় প্রচুর পরিমাণ পানি। সেই পানি পূরণ করতে আপনাকে বাড়তি পানিও পান করতে হবে। শরীরের কোষগুলো সজীব রাখতে হলে দরকার হয় পানি।
# বিভিন্ন মাংস, ডিম এবং চর্বিজাতীয় খাবারের কথা একেবারে ভুলে যান। তরল খাবার, ডাবের পানি, তরমুজ খান বেশি বেশি করে।
# এই গরমে আপনাকে পোশাক পরতে হবে হালকা রংয়ের। কারণ হলো গাঢ় রংয়ের পোশাক রোদ শোষণ করে বলে গরমও অনুভূত হয় বেশি। সবচেয়ে ভালো হয় সাদা রংয়ের পোশাক পরলে। গরমে কখনও সিনথেটিক পোশাক পরবেন না। সবসময় সুতি এবং ঢিলে-ঢালা পোশাক পরার চেষ্টা করুন।
# চেষ্টা করুন ছায়ার মধ্যদিয়ে চলাচল করতে। রোদে গেলে মাথায় রাখুন চওড়া ক্যাপ, স্কার্ফ কিংবা ছাতা। রিকশায় চড়লে অবশ্যই হুড উঠিয়ে চলুন। ত্বকে মাখুন সানস্ক্রিন ক্রিম কিংবা লোশন।
# খুব ভোরে বা সন্ধ্যা নামার পর যখন প্রকৃতি শীতল হয়, ঠিক তখনই একমাত্র ভারি ব্যায়াম করুন। রোদের মধ্যে ভারি ব্যায়াম করলে মাসলে ক্র্যাম্প ধরা হতে আরম্ভ করে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন।
# সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে অবশ্যই ত্যাগ করুন। কারণ হলো ধূমপানে শরীর আরও গরম হয়ে যায়।
This post was last modified on এপ্রিল ১৫, ২০১৯ 4:12 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ এক দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। দাবানলে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘটনাটি ভারতের। সেখানকার কুচামন পুরসভার বিরোধী নেতা অনিল সিংহ মেদতিয়া।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৪ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ ঘুমনোর সময় ত্বক ‘হিল’ হয়। তাই রাতের স্কিন কেয়ারের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ের লেজেন্ডারি ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান মোবাইল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাদের শীত বেশি অর্থাৎ যারা শীতে একটুতেই কাতর হয়ে পড়েন…