দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাধীনতা হলো এক অমূল্য সম্পদ। আর তাই সবার ভাগ্যে স্বাধীনতার এমন দুর্লভ সম্পদ জোটেও না। বিশ্বে এখনও এমন অনেক ভূখণ্ড রয়েছে যারা স্বাধীনতার জন্য ‘হাহাকার’ করছে। ঔপনিবেশিক শাসন থেকে বেরিয়ে যাবার জন্য ‘হাহাকার’তাদের মধ্যে।
কাতালোনিয়া
১৭১৪ সালে স্পেনের রাজা পঞ্চম ফিলিপের বাহিনীর কাছে বার্সেলোনার পরাজয় এবং স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলে কাতালোনিয়া। ২০১২ সাল হতে দিনটিকে স্বাধীনতাকামীরা স্বাধীনতার আন্দোলন হিসেবেই বেছে নিয়েছে। ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর গণভোটের আয়োজন করা হয় কাতালোনিয়ায়। তারপর ২৭ অক্টোবরে স্পেন হতে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করে পুজদেমনের নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতাকামীরা। তবে স্পেনের জাতীয় সরকার কাতালোনিয়ার নতুন সরকার ভেঙে দিয়ে পুজদেমনকে বরখাস্ত করে। বলা যায় যে, স্পেন থেকে আলাদা হওয়ার সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে কাতালোনিয়ার।
আমবাজোনিয়া
আমবাজোনিয়া রাজ্য ১৯৮৪ সাল হতে ক্যামেরুন হতে বিচ্ছিন্ন হতে চাইছে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পল বিয়া ওই অঞ্চলের নাম রিপাবলিক অব ক্যামেরুন হতে পাল্টে ইউনাইটেড রিপাবলিক অব ক্যামেরুন করলে সমস্যার শুরু হয় তখন থেকেই। ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে ক্যামেরুন স্বাধীনতা লাভ করে তবে আমবাজোনিয়ার মানুষ নিজেদের স্বাধীনতার দাবি তারপরও অব্যাহত রাখে।
বিয়াফ্রা
ইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি অঞ্চল হলো এই বিয়াফ্রা। স্বাধীন রাষ্ট্র বিয়াফ্রা প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে আসছে ইগবো নামক একটি জনগোষ্ঠী। এই রাজ্যের বাসিন্দারা মূলত স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। রাজ্যে ইগবোরা ছাড়াও এফিক, ইবিবিও, আনাঙ, জ্যাগহাম, ইকেট, বেনো ও যাও নামে বিভিন্ন সম্প্রদায় বসবাস করে। গত ৫০ বছর ধরে তারা স্বাধীনতার আন্দোলন করে আসছে ফ্রান্সের উপনিবেশ থেকে বের হয়ে আসার জন্য।
সোমালিল্যান্ড
২০১৬ সালে সোমালিল্যান্ডের মানুষ স্বঘোষিত স্বাধীনতার ২৫ বছর পূর্তি পালন করেছে। সোমালিয়ার একটি স্বঘোষিত রাজ্য। সোমালিয়ার সরকার এই অঞ্চলের কথিত বিদ্রোহ দমনে অনেক চেষ্টাও করছে। তবে সম্প্রতি সোমালিল্যান্ডের শান্তিপ্রিয় মানুষরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কাড়তে সমর্থ হয়েছে বলে বিশ্ববাসীদের মধ্যে বেশ সাড়া পড়েছে দেশটির স্বাধীনতা নিয়ে।
দাফুর
স্বাধীনতার জন্য লড়ে আসা আরেকটি ভূখণ্ড হলো দাফুর। তাদের এই সংগ্রামটি খুব বেশি দিনের নয়। ২০০৩ সালে সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট (এসএলএম) ও জাস্টিস অ্যান্ড ইকুয়িটি মুভমেন্ট (জেইএম) স্বাধীনতার দাবিতে লড়াই শুরু করলে দাফুরের জনগণও তখন রাস্তায় নামে। দক্ষিণ সুদানের জন্ম নেওয়ার পর তাদের স্বাধীনতার দাবি আরও বেগবান হয়।