বৃষ্টি ভালোই লুকোচুরি খেললো উইন্ডিজ এবং লঙ্কান খেলোয়াড়দের নিয়ে। প্রথমদিন রোববার খেলা শেষপর্যন্ত পণ্ডই হয়ে গেলো ভারী বৃষ্টির মুখে, পরের দিন রিজার্ভ ডে’তে খেলা হলেও বৃষ্টি আবারও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলো, ফলে পুরো ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলতে পারেনি কোনো দল। ডার্ক/ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে প্রথমে ৪৫ ওভার নির্ধারিত হলেও, পরে ৪১ ওভারে খেলার নিষ্পত্তি ঘোষণা দেয়া হয়। আর এই খেলায় উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৯ রানের জয় পেয়ে ফাইনালের পথে নিজেদের টিকিয়ে রাখলো শ্রীলঙ্কা।
টসে জিতে বৃষ্টিভেজা মাঠে পেসারদের সুবিধার কথা চিন্তা করে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় উইন্ডিজ। এবং শুরুতে এই সিদ্ধান্তে সাফল্যের দেখাও পান অধিনায়ক পোলার্ড। প্রথম ৭ ওভারে দলীয় ২৯ রানের ভেতর শীর্ষ তিন লঙ্কান ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন উইন্ডিজ বোলাররা। জয়াবর্ধনে (৭), চান্ডিমালের (২) উইকেট নেন কেমার রোচ এবং থারাঙ্গার (৭) উইকেটটি নেন জ্যাসন হোল্ডার। এরপরই লঙ্কান ব্যাটিংয়ে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সাঙ্গাকারা-থিরিমান্নে জুটি। চতুর্থ উইকেটে এই জুটি যোগ করেন ৬৪ রান।
দলীয় ৯৩ রানে স্যামুয়েলসের বলে বোল্ড হবার আগে থিরিমান্নে করেন ৭৩ বলে ২৩ রান! থিরিমান্নে আউট হবার পর লঙ্কান অধিনায়ক ম্যাথুসের সাথে ৪৭ রানের আরও একটি সফল জুটি গড়ে তোলেন সাঙ্গাকারা। এসময় সাঙ্গাকারার সাথে তাল মিলিয়ে ২৭ বলে বেশ দ্রুততার সাথে ৩০ রান তোলেন ম্যাথুস। এরপর অষ্টম উইকেটে নুয়ান কুলাসেকারার সাথে ৫৭ রানের দ্বিতীয় বড় জুটি গড়েন সাঙ্গাকারা। অবশ্য এতে কুলাসেকারার অবদান মাত্রই ১৪ রান! তিনটি কার্যকর জুটি এবং সাথে সাঙ্গাকারার অপরাজিত ৯০ রান নির্ধারিত ৪১ ওভারে শ্রীলঙ্কাকে এনে দেয় ২১৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
৪১ ওভারেই শ্রীলঙ্কার ২১৯ রানের পেছনে উইন্ডিজের অবদান আছে বাড়তি ৩১ রান দেবার। ৮ উইকেট নিয়ে তাই উইন্ডিজ বোলিং আক্রমণকে সফল বলা যাচ্ছে না মোটেও। যখনই উইকেট নিয়ে লঙ্কাকে চাপে রাখতে চেয়েছে তারা, তখনই ছোটোখাট জুটি গড়ে সে চাপ থেকে বেরিয়ে এসেছে লঙ্কা। এরমাঝেও কেমার রোচ ৪ উইকেট নিয়ে উইন্ডিজ বোলিং আক্রমনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, এছাড়া জ্যাসন হোল্ডার ২ উইকেট, স্যামুয়েলস এবং পোলার্ড ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এই ম্যাচে জয়ের ফলে উইন্ডিজের সাথে সমান ৯ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালের পথেই রয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে তারা উইন্ডিজের চেয়ে একম্যাচ কম খেলেই এ পয়েন্ট অর্জন করেছে। নেট রান রেটে সবার ওপরেই আছে লঙ্কা। তবে দৃশ্যত ফাইনালে ওঠার সুযোগ রয়েছে তিনদলেরই! আগামীকাল ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচেই নির্ধারিত হবে ফাইনালে খেলবে কোন দুইদল!