দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে আরও আগেই। প্রতিটি মুসলমানের জন্যই রোজা ফরজ। এই তালিকা থেকে বাদ দেয়া যায় না বালক-বালিকা, কিশোর-কিশোরীদেরও। এই রমজানে রোজাদার বাচ্চারা কী খাবে?
অনেক শিশুই রয়েছে যারা ১০ বছরের পর থেকে রোজা করতে শুরু করে। ছোট থেকে অভ্যাস করলে বড় হয়ে রোজা রাখতে তাদের কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। কারণ সারাদিন পানাহার না করে রোজা রাখা খুব সহজ কাজ নয়। তবে অভ্যাস থাকলে সব কিছুই সহজ সাধ্য হয়ে যায়।
বাড়ন্ত বাচ্চাদের রোজায় খাবার তালিকা হতে হবে সুষম খাবার। বাড়ন্ত বাচ্চাদের রোজায় কোনো খাদ্য উপাদানের যাতে ঘাটতি না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে।
ইফতারিতে বাড়ন্ত বাচ্চাদের যা যা খাওয়া দরকার
বাড়ন্ত বাচ্চাদের রোজার সময় লেবুর শরবত, বাসায় তৈরি যেকোন পছন্দসই ফলের রস, ডিম কিংবা ডিমের তৈরি খাবার যেমন পুডিং, কেক, প্যানকেক, ডিমের চপ ইত্যাদি খাওয়ানো দরকার। সেইসঙ্গে নিতে পারেন বাসায় তৈরি হালিম, ছোলা-মুড়ি, ২/৩টা পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ ইত্যাদি ইফতারিও।
রাতের খাবার কি হবে
রাতের খাবারে অবশ্যই রাখতে হবে ভাত, মাছ, মাংস, সবজি, ডাল ইত্যাদি খাবার। যদি ভাত খেতে ভাল না লাগে তাহলে মাঝে মাঝে বাসায় তৈরি তান্দুরি চিকেন কিংবা নরমাল মুরগির মাংস, রুটি বা তান্দুরি রুটি, সালাদ ইত্যাদি রাতের খাবারে রাখা যেতে পারে। রাতে শোবার পূর্বে এক গ্লাস দুধ বা দই খেয়ে নিলে ভালো হয়।
সেহেরিতে বাচ্চাকে কী কী খাবে
ভাত, মাছ/মাংস, সবজি, ডাল ইত্যাদি অবশ্যই থাকতে হবে। নরমাল ভাত অনেক সময় বাচ্চারা খেতে পছন্দ করে না। সেক্ষেত্রে তাকে ভাত ডিম বা মাংস এবং সবজি দিয়ে ভাত ভাজি করে দেওয়া যেতে পারে। তবে ভাত খেতে না চাইলেও অল্প হলেও ভাত খাওয়াতে হবে। সেহরির সময় বাচ্চাদের দুধ ভাতও খাওয়ানো যেতে পারে।
যে বিষয়গুলো আপনি লক্ষ্য রাখবেন
ইফতারের পর হতে রাতে শোবার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রতি ঘন্টায় এক গ্লাস করে পানি খাওয়াতে হবে। খাবারে লবণ কম খেতে হবে এবং লবণাক্ত খাবারও কম খেলে ভালো হয়। যেসব বাড়ন্ত বাচ্চাদের ওজন বেশি তাদের তেলে ভাজা খাবার ও মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলায় ভালো। তবে যাদের স্বাস্থ্য খারাপ তাদের ক্ষেত্রে মিষ্টি জাতীয় খাবার দেওয়ায় ভালো।