দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবারও ইরানের সঙ্গে ‘নিঃশর্ত’ আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার মার্কিন নিউজ চ্যানেল এনবিসি’র সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য তার কোনো পূর্বশর্ত নেই। একইসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প স্ববিরোধী মন্তব্য করে বলেন, সম্ভাব্য আলোচনায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে অবশ্যই তাদের কথা বলতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকমাসে অসংখ্যবার ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করলেন। তিনি এমন সময় এই আগ্রহ প্রকাশ করলেন যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে টার্গেট করে সামরিক অবস্থান শক্তিশালী করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
দীর্ঘদিনের আলোচনা শেষে পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরান যে পরমাণু সমঝোতা সই করেছিল তা থেকে আমেরিকাকে বের করে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচনার প্রস্তাব পত্রপাঠ প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ইরানে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল খামেনেয়ী গত ১৩ জুন তেহরান সফরকারী জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবেকে বলেন যে, আমেরিকাকে বিন্দুমাত্রও বিশ্বাস করে না ইরান।
তিনি আরও বলেন, পরমাণু সমঝোতা অর্জন করতে গিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসে যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে তার আর পুনরাবৃত্তি করতে চায় না তেহরান। কোনো স্বাধীনচেতা এবং বিজ্ঞ জাতি চাপের মুখে আলোচনায় বসে না বলেও ইরানের এই সর্বোচ্চ নেতা মন্তব্য করেন।
ইরানের নেতা বলেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে ‘সত্যনিষ্ঠা’র তীব্র অভাব বিদ্যমা। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পাশ্চাত্যের পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষর হওয়ার পর প্রথম যে ব্যক্তি এটি লঙ্ঘন করেন তিনি হলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। অথচ এই ওবামাই এক সময় ইরানের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা হতে তার দেশকে বের করে আনেন এবং ওই বছরেরই নভেম্বরে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। তবে সৌদি আরব এবং ইহুদিবাদী দেশ ইসরাইল ছাড়া ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে বিশ্বের কোনো দেশই সমর্থন জানায়নি। এমন এক বিব্রতকর অবস্থায় ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসে আরেকটি চুক্তি করতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে তেহরান স্পষ্ট করে বলেছে, নতুন চুক্তি করতে আলোচনায় বসার পূর্বে আমেরিকাকে অবশ্যই আগের চুক্তিতে ফিরে আসতে হবে।