দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২৩ আগস্ট ২০১৯ খৃস্টাব্দ, ৮ ভাদ্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, ২১ জ্বিলহজ্ব ১৪৪০ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে মসজিদের ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি পুরাতন ঢাকার আরমানিটোলার আবুল খয়রাত রোডে অবস্থিত তারা মসজিদ। এটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।
আদি তারা মসজিদের কোনো রকম তারিখযুক্ত শিলালিপি নেই। তবে ইতিহাস সূত্রে জানা যায় যে, (সূত্রঃ এস.এম তৈফুর, ১৯৫৬) এই মসজিদের নির্মাতা মির্জা গোলাম পীরের পূর্বপুরুষ ঢাকায় এসে ‘মহল্লা আলে আবু সাইয়েদ’ কিংবা বর্তমান আরমানিটোলায় বসবাস শুরু করেন। এই তারা মসজিদটি মির্জা গোলাম পীর নির্মাণ করেছিলেন বলে মসজিদটি মির্জা সাহেবের মসজিদ বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। মির্জা গোলাম পীরের মৃত্যু ঘটে ১৮৬০ সালে; তাই এই মসজিদের নির্মাণকাল উনিশ শতকের প্রারম্ভে ছিল বলে প্রতীয়মান হয়।
তারা মসজিদ আদিতে ছিল দৈর্ঘ্যে ১০.০৬ মিটার ও প্রস্থে ৪.০৪ মিটার। জুল্লার পূর্ব দেওয়ালে ৩টি প্রবেশপথের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা করে পশ্চিম দেওয়ালে ছিল ৩টি মিহরাব। কেন্দ্রীয় মিহরাব দুপার্শ্বের মিহরাবদ্বয় অপেক্ষা কিছুটা বড়। মসজিদের কেন্দ্রীয় গম্বুজটিও ছিল দুপার্শ্বের দুটি গম্বুজ অপেক্ষা উঁচু ও তুলনামূলক বড় আকৃতির। কেন্দ্রীয় গম্বুজ নির্মাণে বর্গকে বৃত্তে রূপান্তরের মাধ্যম হিসেবে খিলান ভিত্তিক ‘স্কুইঞ্চ’ পদ্ধতি অনুসৃত হয়।
জানা যায়, আদি তারা মসজিদ বর্তমান তারা মসজিদের মতো নকশালংকারে সমৃদ্ধ ছিল না। পশ্চাতের ভগ্ন ও নগ্ন দেওয়াল তারই সাক্ষ্য বহন করছে। এই মসজিদের দরজাগুলির মধ্যে দক্ষিণ দিকের ৩টি দরজাই প্রাচীন। ১৯২৬ সালে আলীজান ব্যাপারী বহু অর্থ ব্যয় করে এই মসজিদটির পূর্বপার্শ্বে বারান্দা সংযুক্ত করে মসজিদের আকৃতি বৃদ্ধি করেছিলেন। এতে করে কেবলমাত্র প্রস্থের দিক বর্ধিত হয়। ৪টি স্তম্ভোপরি ৫টি খিলানে মসজিদের সম্মুখভাগ গঠিত হয়। অপরদিকে প্রস্থে ৩.৯৯ মিটার সম্প্রসারিত করায় তারা মসজিদের প্রস্থ দাঁড়ায় একেবারেই দ্বিগুণ অর্থাৎ ৭.৯৮ মিটার। এই সময়ের সম্প্রসারণে মসজিদের মূল ভূমিনকশায় কোনোরূপ পরিবর্তনই আনা হয়নি। তবে বিভিন্ন নকশার রঙিন চকচকে টালির সংযোজন করা হয়।
জানা যায়, ১৯৮৭ সালে ৩ গম্বুজের তারা মসজিদকে ৫ গম্বুজের মসজিদে রূপান্তর করা হলে মসজিদটি দৈর্ঘ্যে বাড়ে। অবশ্য প্রস্থে কোনোরূপ পরিবর্তনই করা হয়নি। বর্তমানে সম্প্রসারিত মসজিদের দৈর্ঘ্য হলো ২১.৩৪ মিটার এবং প্রস্থ ৭.৯৮ মিটার। ৫ গম্বুজের মসজিদে পরিবর্তন করার প্রয়োজনে একটি মিহরাব ভেঙ্গেও ফেলা হয় এবং ২টি নতুন গম্বুজ ও ৩টি নতুন মিহরাব যুক্ত করা হয়। মসজিদের জুল্লায় প্রবেশের জন্য ৫টি খিলানবিশিষ্ট পথ সৃষ্ট করা হয়। এই খিলানগুলি বহু খাঁজবিশিষ্ট ও ৪টি অষ্টভুজাকৃতির স্তম্ভ হতে উত্থিত। মসজিদের অভ্যন্তরে এবং বাইরে সম্পূর্ণরূপে মোজাইক নকশা করা।
তথ্যসূত্র: http://bn.banglapedia.org
This post was last modified on আগস্ট ২০, ২০১৯ 11:32 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদ-উল-ফিতর ২০২৫ উপলক্ষে এনটিভি'র ৭ দিন ব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানসূচী। আজ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) পবিত্র ঈদ-উল- ফিতর। মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবের একটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১৭ চৈত্র ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরমের এই সময় সজনে ডাঁটা পাওয়া যায় বাজারে। কচি-সবুজ ডাঁটাগুলো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদ-উল-ফিতর ২০২৫ উপলক্ষে এনটিভি প্রতি বছরের মতো এবারও ৭ দিনব্যাপী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের আকাশে আজ (রবিবার) ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের…