দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কম্পিউটার বর্তমানে আমাদের জীবন সভ্যতায় একটি অপরিহার্য ও অবিচ্ছেদ্য প্রয়োজনের আরেক নাম। তবে এই কম্পিউটারের মূল শক্তি হলো এর হার্ড ড্রাইভ। এটির কোনো সমস্যা হলে কী করবেন? সেই বিষয়টি জেনে নিন।
বর্তমানে আকাশে বিমান উড়ানো থেকে শুরু করে দোকানের পণ্য কেনাবেচাসহ সকল কাজেই ব্যবহার করা হয় এই কম্পিউটার। আমাদের জীবনে এই কম্পিউটারের প্রভাবও অনেক। একটি কম্পিউটারের মধ্যে জরুরি অনেক কিছু থাকলেও হার্ডডিস্ক অথবা হার্ড ড্রাইভ কম্পিউটারের একটি খুবি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা আমাদের সংরক্ষিত সকল তথ্য ও ডকুমেন্ট সকল কিছুই এই হার্ড ড্রাইভে সংরক্ষণ করে থাকি। হার্ড ড্রাইভ এমন একটি অংশ যা নষ্ট হয়ে গেলে আমাদের কম্পিউটার সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে। যদি হার্ড ড্রাইভ ফেল করে অথবা নষ্ট হয় তাহলে আমরা আমাদের কম্পিউটারকে বুটআপ করতে পারি না। অনেক সময় হার্ড ড্রাইভের সমস্যার কারণে আমরা কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম দিলেও তা হার্ড ড্রাইভের বিভিন্ন ড্রাইভগুলোতে প্রবেশ করতে পারে না।
হার্ড ড্রাইভে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। হার্ড ড্রাইভের নানাবিধ সমস্যার মধ্যে খুবি পরিচিত একটি সমস্যা হল হেড ক্রাশ। হার্ড ড্রাইভের প্ল্যাটারের সাথে হার্ড ড্রাইভের হেডের মধ্যকার সংঘর্ষকে এক কথায় হেড ক্রাশ বলা হয়ে থাকে। হার্ড ড্রাইভের হেড ক্রাশ সমস্যায় আমাদের হার্ড ড্রাইভে থাকা ম্যগনেটিক তথ্য বা মিডিয়া গুলো ড্রাইভের হেডের বিকল্পের কারণে নষ্ট হয়ে যায় বা প্ল্যটার থেকে মুছে যায়। এমন অবস্থায় আপনার হার্ড ড্রাইভের হেড ক্রাশ হয়ে যাওয়া ডাটা গুলো সহজে রিকভার করার তেমন কোন সহজ উপায় নেই। এই সমস্যায় আক্রান্ত হার্ড ড্রাইভের থেকে বিলুপ্ত ডাটা সংরক্ষন করা খুবি কষ্টের একটি কাজ।
হার্ড ড্রাইভের অন্য একটি সমস্যা যা প্রায় আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি তারা অবগত আর তা হল হার্ড ড্রাইভের ব্যাড সেক্টর। হার্ড ড্রাইভের ব্যাড সেক্টর সমস্যা আমরা যারা নিয়মিত কম্পিউটার ব্যবহার করি তারা প্রায় সকলেই জানি। ব্যাড সেক্টরের তৈরি হওয়ার অন্যতম একটি কারন হল আমাদের হার্ড ড্রাইভের ম্যাগনেটিক মিডিয়ার ডাটা গুলো যখন নির্দিষ্ট কোন সেক্টরে প্রবেশ করতে বা বণ্টন হতে না পারে। ব্যাড সেক্টর আমাদের হার্ড ড্রাইভের যায়গার তুলনায় কম হলেও সময়ের সাথে সাথে এর পরিমাণ বারতে থাকে। আমরা যখন আমাদের কম্পিউটারে ৫০০ গিগাবাইটের হার্ড ড্রাইভ লাগাই লক্ষ করলে দেখা যায় যে আমরা ৪৯০ অথবা ৪৮৮ জিবি ব্যবহার করতে পারি। ঠিক একই ভাবে ২৫০ জিবি হার্ড ড্রাইভের ক্ষেত্রেও ২৪৬ জিবি ব্যবহার করা যায়। ব্যড সেক্টর মূলত হার্ড ড্রাইভের ম্যানুফেকচার করার সময় থেকেই হার্ড ড্রাইভে বিদ্যমান থাকে।
এছাড়া হার্ড ড্রাইভের ভিতরে যদি কোন প্রকার ইলেক্ট্রিক্যাল সমস্যা দেখা দেয় অথবা লজিক বোর্ডে কোন সমস্যা হয় তাহলে আমাদের হার্ড ড্রাইভে সংরক্ষিত ডাটা মুছে যেতে বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
হার্ড ড্রাইভের ক্ষেত্রে আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার কারি তাদের জানতে হবে যে এটি একটি ইলেকট্রিক যন্ত্র যা যেকোনো সময়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। হার্ড ড্রাইভেরনানাবিধ ফেল হউয়া বা নষ্ট হউয়ার তেমন কোন স্থায়ী সমাধান নেই বললেই চলে। তবে আমরা খুব সহজেই আমাদের হার্ড ড্রাইভের ভিতরে থাকা ডাটা বা তথ্যগুলোকে বাচাতে পারি। আমরা একটু সচেতন হলেই তা সম্ভব। যদি কোন কারণে আমাদের হার্ড ড্রাইভে থাকা ডাটা নষ্ট হয়ে যায় ওই হারানো ডাটা রিকভার করা খুবি খরচের ও সময়ের ব্যাপার। আবার হারানো ডাটা রিকভার করলে আমরা আমাদের সব ডাটা ফেরত পাই না। তাই আমাদের সচেতনতার সাথে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ডাটাগুলোকে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাকআপ রাখতে পারি।
আমরা গুগোল ড্রাইভ, ক্লাউড ইত্যাদি ব্যবহার করেও আমাদের ডাটাগুলোকে সংরক্ষণ করতে পারি যার দ্বারা আমরা পরবর্তী যেকোনো সময়ে তা প্রয়োজন মত ব্যবহার করতে পারি। আমরা পোর্টেবল হার্ড ড্রাইভের ব্যবহার করতে পারি। পোর্টেবল হার্ড ড্রাইভ সংরক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হলে তা তুলনামূলক কম ব্যবহার করা হয় আর পোর্টেবল হার্ড ড্রাইভ কম নষ্ট হয়ে থাকে।
This post was last modified on আগস্ট ২৭, ২০১৯ 10:29 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণ বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, অ্যাডাল্ট অ্যাকনির নেপথ্যে মূল কারণ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা প্রযুক্তি আও উদ্ভাবনের জোরে বিনোদনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন বি১২ শরীরের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করে। তাই এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ৩ দিনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিডিও ভাইরাল করতে গিয়ে এক যুবক দেশলাই জ্বালিয়ে পেট্রোলের উপর…