দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে অসংখ্য তরুণী ও কিশোরীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে অস্বাভাবিক হারে লোম বৃদ্ধি পাওয়ার সমস্যা তীব্রতর স্থানে পৌঁছেছে। শরীরের এই অস্বাভাবিক লোভের কারণে তরুণীরা হারাচ্ছে তাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য।
এই সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তরুণীর নানাবিধ প্রসাধনী ও চিকিৎসা নেয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকেন যার ফলে তাদের শরীরে মাঝে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হউয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে এই লোমের সমস্যার কারণে অসংখ্য কিশোরী-তরুণীরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। বর্তমানে তরুণীদের চিকিৎসাশাস্ত্রে এই সমস্যাটিকে পলিসিস্টিক ওভারীয়ান সিনড্রোম বলা হয়। ডাক্তারদের চিকিৎসায় সংক্ষেপে এই সমস্যাকে পি সি ও বলা হয়ে থাকে।
১৯৩৫ সালে সর্বপ্রথম শরীরের অতিরিক্ত লোমের সমস্যার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে কাজ করেন স্টেন ও লেভেস্থাল। তারা এই সমস্যার কারণ ও সমস্যা থেকে প্রতিকারের উপায় বের করার লক্ষে পলিসিস্টিক ওভারীয়ান রোগীদেরকে চারটি ভাগে ভাগ করে থাকেন। স্টেন ও লেভেস্থাল মতে ফিনোটাইপ এ ফিনোটাইপ বি জিনোটাইপ সি ফিনোটাইপ ডি এই চারটি ভাগে পলিসিস্টিক ওভারীয়ান রোগীদের বৈশিষ্ট্যকে ভাগ করে থাকে।
কারণঃ হরমোনজনিত সমস্যার কারণে এই পলিসিস্টিক ওভারি রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। এছাড়া হরমোনজনিত সমস্যা ছাড়াও অতিরিক্ত স্বাস্থ্য, অতিরিক্ত ওজন বহন করার ফলে এবং পাশাপাশি কোলেস্টরেলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলেও আমাদের শরীরে এই রোগ বাসা বাঁচতে পারে। অতিরিক্ত ইনসুলিন ব্যবহার করলে আমাদের শরীরে হরমোন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না সে ক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে গেলে আমাদের শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ফলপ্রসূত আমাদের শরীরে অতিরিক্ত লোম বেড়ে যেতে পারে। আমাদের শরীরের রক্তে যদি রক্তে ভিটামিন ডি ও ইনোসিটোল উপাদানটি কমে যায় তাহলে শরীরের মধ্যে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তের পরিবহন ব্যবস্থা ও রক্ত পরিষ্কার থাকাটা খুবই জরুরী এ রোগ থেকে বাঁচার জন্য। এছাড়া থাইরয়েড ও প্রোল্যাকটিন হরমোনের তারতম্যের ফলে অনেক তরুণী ও কিশোরীদের শরীরের বিভিন্ন অংশে এ রোগ এর প্রকাশ পায়।
প্রতীকারঃ পলিসিস্টিক ওভারি চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরী। অতিরিক্ত লোম সমস্যা যা পলিসিসটিক ওভারির নামে আমাদের কাছে পরিচিত এ রোগ প্রতিকারের ক্ষেত্রে আমাদেরকে টেনশনমুক্ত জীবনযাপন করতে হবে। নিয়মিত হাঁটাচলা করা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার পরিহার করার পাশাপাশি নিয়মিত এক্সারসাইজ করার মাধ্যমে আমরা এর থেকে পরিত্রান পেতে পারি। মেটফরমিন জাতীয় ওষুধ আমাদের শরীরে ইনসুলিনের কাজ করতে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে যার ফলে আমাদের শরীরের ওজন হ্রাস পায়। ওজন হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের নানা জটিলতা কমে আসে এবং শরীরে অতিরিক্ত লোম কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থেকে। থাইরয়েড প্রোলেক্টিন হরমোন ওষুধ প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে। ইনোসিটোলের এর সাথে ভিটামিন ডি অতিমাত্রায় গ্রহণ করতে হবে। উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা আমরা খুব সহজেই আমাদের শরীরের এই অতিরিক্ত লোম এর সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে পারি।
This post was last modified on মে ৩০, ২০২৩ 4:46 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘ইনস্ট্যান্ট নুডলস’ স্বাদে মিষ্টি না হলেও এই ধরনের খাবারে শর্করার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেমেন্ট প্রযুক্তিতে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলীকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজা উপত্যকায় গত ৬ মাসে নিহত শিশুদের সংখ্যা আঁতকে উঠার…