দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চরম সময় পার করছেন ইউটিউব। এখন ভুয়া কন্টেন্টের সমাহার ইউটিউবে, যার কারণে চরম বিপাকের মধ্যে পড়েছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। কারণ হলো ইউটিউব ভিডিওর পাশাপাশি এর একটি বড় অংশই হলো বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা।
জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা ইউটিউব ইন্টারনেট জগতের একটি অন্য নাম যেখানে মানুষ খুব সহজে সকল ধরনের ভিডিও গান তথ্যাদি ভিডিও রূপে দেখা যায়। সম্প্রতি চলাকালীন বিবিসির এক অনুসন্ধানে ধরা পড়ে যে ক্যান্সার নিরাময় সংক্রান্ত ভুয়া কনটেন্টের পাশে ইউটিউব বিশ্বের নামিদামি বিজ্ঞাপনগুলো দেখাচ্ছে। যা গুগলের জন্য একটি মহা বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তার সাথে সাথেই ইউটিউব গুগোল হারাতে পারে তাদের জনপ্রিয়তা। ইউটিউব ভিডিওর পাশাপাশি এর একটি বড় অংশ হলো বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা। এভাবে চলতে থাকলে ইউটিউব বিজ্ঞাপন থেকে সরে দাঁড়াতে পারে অনেক বড় বড় ব্র্যান্ড ও সংস্থা। এর আগেও গুগোল-এ বাজে কনটেন্ট এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করে কারণ এর কারণে অনেক বিজ্ঞাপনদাতারা ইউটিউব থেকে তাদের এড ও ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম থেকে তাদের মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন।
গুগোল এ বিজ্ঞাপন দাতাদের মধ্যে স্যামসাং ও প্রক্টর অন্ড গ্যাম্বল সবচেয়ে তীর্থস্থানে রয়েছে। এই দুই প্রতিষ্ঠান গুগলের বিজ্ঞাপন দেয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করে থাকে। কয়েকটি বড় ব্যান্ড ইউটিউব এর ভুয়া কন্টেন্টের সঙ্গে তাদের বিজ্ঞাপন দেখানো নিয়ে অভিযোগ তুলেছিল ২০১৭ সালে যার পরিপ্রেক্ষিতে গুগল কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে থাকে। ইউটিউব এ রকম বেখেয়ালিপনার কারণে এটিএন্ড টির মত বিশ্বসেরা ব্র্যান্ড ইউটিউব থেকে প্রায় দুই বছর ধরে তাদের বিজ্ঞাপন ও তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছেন। বাজে কনটেন্টে বিজ্ঞাপন দেখানো হলে বিজ্ঞাপন না চালানোর হুমকি দিয়ে অনেক বড় বড় ব্র্যান্ড তাদের সুনাম রক্ষার ক্ষেত্রে ইউটিউবকে আজ্ঞাত করেন।
ইউটিউব হল গুগলের বিজ্ঞাপন আয় বাড়ানো সবচেয়ে বড় মাধ্যম। কনটেন্টের সমস্যার কারণে ইউটিউবের পাশাপাশি গুগলের সমস্যাই সবথেকে বেশি হবে বলে মত ব্যক্ত করেন অনেকেই। গুগল সম্প্রতি ক্লাউড সেবা নিয়ে মনোনিবেশ করেছেন এবং ক্লাউড নিয়ে নানাবিধ ফিচার তৈরি করে চলেছেন তবুও বিজ্ঞাপনের আয় এখনো গুগলের সব থেকে বড় ইনকাম সোর্স। নানাবিধ গবেষণায় জানা যায় ২০১৯ সালে দ্বিতীয় প্রান্তিকে গুগল কোম্পানির অ্যালফাবেটের এর প্রায় ৮৪ শতাংশ এসেছে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে।
বর্তমানে প্রচলিত পে টিভির দর্শক লক্ষণীয় হারে কমতে শুরু করেছে যার ফলে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের দিকেই ঝুঁকে পড়ছে নানাবিধ প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা গুলো। ভিডিও বিজ্ঞাপনের খরচ বাড়ার অর্থ হচ্ছে ইউটিউব এর বাজার বড় হওয়ার সম্ভাবনা। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব ইনকাম করতে পারে বিলিয়ন থেকে বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এই ভুয়া কন্টেন্ট হয়ে দাঁড়াতে পারে তাদের এই বিশাল সফলতার মধ্যে বাধা হয়ে। তবে ডিজিটাল ভিডিও খাতে ইউটিউবে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ফেসবুক-টুইটারের এই খাতে অর্থ আয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন পাশাপাশি ফেসবুক, টুইটার ও নানাবিধ সোশ্যাল যোগাযোগ মাধ্যম গুলো এই বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা চালু করেছে। ভিডিও বিজ্ঞাপনদাতাদের উদ্দেশ্যে ফেসবুক বিশেষ ভিডিও ওয়াচ বিভাগ চালু করেছে যার ফলে তারা ইউটিউবের পাশাপাশি তাদের নিজস্ব বিজ্ঞাপন মাধ্যম চালু করতে সক্ষম হতে পারে।
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯ 10:43 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…