দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের এই মহাবিশ্ব রহস্য রোমাঞ্চকর সকল বস্তু ও উপাদানে ভরপুর। মহাবিশ্বের যে ভারী অদ্ভুত রহস্যময়তা রয়েছে তার ওপরে সন্দেহ নেই। আজ জেনে নিন মহাবিশ্বের অজানা কিছু বিস্ময়।
আমাদের এই পৃথিবীর সর্ব জুড়ে রয়েছে হাজারো কোটি প্রজাতির প্রাণী, উদ্ভিদ ও নানা ধরনের উপাদানসমূহ। প্রাণী ও উদ্ভিদের জগতের মাঝে আবার রয়েছে গ্যাসের হালকা অবগুন্ঠনে ঢাকা পাতলা কঠিন খোলসে আবৃত ঢাকা গলিত শিলা পাহাড়। আমাদের ছোট্ট গ্রহটি মধ্যে রয়েছে লুকিয়ে সব বিচিত্র অদ্ভুত বস্তু এবং যার দিনে দিনে নতুনত্বের দ্বারা আমদের কাছে প্রকাশ পাচ্ছে দিনে দিনে। অথই জমিনের মাঝে রয়েছে হাজারো অজানা তথ্য যা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্রতিদিনই আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন এবং সৃষ্টি করছে মহা বিশ্বয়। ঠিক তেমনই কিছু বিস্ময়কর বস্তু ও অদ্ভুত সব উপাদান সমূহের কথা উল্লেখ করা হলো আজকের এই আলোচনায়।
আমাদের দেখা চাঁদেরও রয়েছে আরেকটি নিজস্ব চাঁদ। কি অবাক হলেন? হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন চাঁদের রয়েছে আর একটি চাঁদ যা আমাদের দেখা চাঁদের চারপাশে ঘুরপাক খেয়ে চলেছে। চাঁদের পাশে এই ঘূর্ণায়মান চাঁদটির নাম দেয়া হয়েছে মুনমুন তবে একে সাবমুন, গ্র্যান্ডমুনও বলা হয়ে থাকে। যদিও এই সকল বিষয়কে এখনো তত্ত্বীয় পর্যায়ে রাখা হয়েছে তারপরেও সম্প্রতি হিসাব-নিকাশে দেখা গেছে যে এগুলো গঠিত হওয়া বা সৃষ্ট হওয়াটাকে অসম্ভব বলা যাবে না। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে হয়তো একদিন এই চাঁদ খুব সহজেই আবিষ্কৃত করা সম্ভব হবে।
আপনি যখন শুনতে পাবেন যে শত শত কোটি আলোকবর্ষ দূর থেকে আসছে রহস্যময় বেতার সংকেত আপনি তখনই কৌতুহলে আবদ্ধ হয়ে পড়বেন। ঠিক এরকমই একটা ঘটনা ২০০৭ সাল থেকে গবেষকরা বয়ে বেড়াচ্ছেন। ২০০৭ সাল থেকে গবেষকেরা অতি শক্তিশালী অতি উজ্জ্বল বেতার সংকেত শুনে আসছেন যেগুলো খুবই রহস্যময়। এই বেতার সংকেত গুলো খুবই শক্তিশালী ও অতি উজ্জ্বল বেতার সংকেত যার স্থায়ীত্বকাল মাত্র কয়েক মিলি সেকেন্ড এবং এ প্রহেলিকায় আলোর ঝলকানিতে বলা হয় ফাস্ট রেডিও বারটস। যা ধারণা করা হয় কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূর থেকে উৎপত্তি হচ্ছে বা আসছে।
এটি মূলত বিশাল বিশাল সকল বস্তুকে আলোকের বক্র করে ফেলে। এবং সেটা এতটাই বক্র হয়ে যায় যে আলোর পেছনের বস্তুটির ছবি সম্পূর্ণ বিকৃতি এবং বিনষ্ট হয়ে পড়ে। বিজ্ঞানীরা এই ঘটনার সঠিক তদন্তের লক্ষে ও ব্যখ্যার কাজ করে চলেছেন অনেকদিন যাবত। গবেষকরা মহাবিশ্বের প্রথম দিকের একটি কোয়াসারের এর হদিস বের করার ক্ষেত্রে টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছিলেন এবং তারা এটিকে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের হার নির্ণয়ের কাজে এই ঘটনাটি ব্যবহার করেছিলেন। এবং এর দ্বারা তারা একটি উক্তিতে উপনীত হন যে মহাবিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে আগের তুলনায় সম্প্রতি খুবই দ্রুত হারে। তবে এই উক্তি বিজ্ঞানীদের নির্ণয় করা সঠিক নাকি ভুল তা সঠিকভাবে এখনো আলোকপাত করা সম্ভব হয়নি।
মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বস্তু বলে এটিকে আখ্যায়িত করা হয় এগুলো হচ্ছে মৃত নক্ষত্রের পরিত্যক্ত অংশ দিয়ে গঠিত। এগুলোকে পারমাণবিক পাস্তা বলার পেছনে একটি উক্তি রয়েছে সেটি হচ্ছে সিমুলেশনে দেখা গেছে যে একটি নক্ষত্র সংকুচিত খোলসের প্রোটন ও নিউট্রন গুলো মধ্যাকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে এতটা পরিমাণ আকৃষ্ট হয়ে থাকে যে এগুলো সংকুচিত হতে হতে পাস্তার মত জমাটবাঁধা বস্তুতে পরিণত হয়। এই বস্তুটি ভাঙ্গা যেতে পারে তবে তার জন্য ইস্পাত ভাংতে যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন তার থেকেও ১ কোটি গুণ বেশি শক্তি আমাদের প্রয়োগ করতে হবে যদি আমরা এটিকে ভাঙতে চাই। এর দ্বারা খুব সহজে বোঝা যায় যে একটি খুবই শক্তিশালী একটি বাঁধন যা স্বাভাবিক কোনো শক্তি দ্বারা ভাঙ্গা সম্ভব নয়।
এটি হলো মিলকি এর মতো একটি বিশাল নীহারিকা তবে এর নক্ষত্রগুলো এতই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়া যা প্রায় দেখাই যাওয়া সম্ভব হয়না। তবে ২০১৬ সালে বিজ্ঞানীরা এই ভুতুড়ে ডিজিস্যঠত্রটি-১ নীহারিকাটি টি দেখতে পান। নীহারিকাটি দেখার সময় লক্ষণীয় বিষয় হলো যে এটি একেবারেই একাকী বসে ছিল যা অন্যান্য অতি প্রসারিত নীহারিকার মতো আচরণ করছিল না। এটির ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা নানাবিধ কথা ও মতবাদ প্রকাশ করলেও ধারণা করা যায় যে অতি ভিন্ন অধ্যায় যেমন মহাবিস্ফোরণের প্রায় এক শ কোটি বছর পর এটি গঠিত হয়েছিল।
This post was last modified on অক্টোবর ১৫, ২০১৯ 4:20 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘটনাটি ভারতের। সেখানকার কুচামন পুরসভার বিরোধী নেতা অনিল সিংহ মেদতিয়া।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৪ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ ঘুমনোর সময় ত্বক ‘হিল’ হয়। তাই রাতের স্কিন কেয়ারের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ের লেজেন্ডারি ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান মোবাইল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাদের শীত বেশি অর্থাৎ যারা শীতে একটুতেই কাতর হয়ে পড়েন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শাহরুখ খান এবং গৌরী খানের ৩৩ বছরের দাম্পত্য জীবনে ধর্ম…