তথ্য প্রযুক্তি

নাসার বিজ্ঞানীদের দাবি: ৪০ বছর পূর্বেই মঙ্গলে মিলেছিল প্রাণের প্রমাণ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মঙ্গল গ্রহ নিয়ে আবার নতুন এক তথ্য উঠে এসেছে। নাসার বিজ্ঞানীদের দাবি করেছেন যে, ৪০ বছর পূর্বেই মঙ্গলে মিলেছিল প্রাণের প্রমাণ।

১৯৭৬ সালে মঙ্গলে একটি বাইকিং ল্যান্ডার পাঠিয়েছিল নাসা। সেইসময় প্রিন্সিপ্যাল ইনভেস্টিগেটর ছিলেন গিলবার্ট ভি লেভিন নামে জনৈক বিজ্ঞানী। তিনিই সম্প্রতি একটি মার্কিন জার্নালে ওই অভিযান সম্পর্কে একটি আর্টিকল লেখেন। সেখানে তিনি লিখেছেন যে, লাল গ্রহে প্রাণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল সেই সময়ই।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই পরীক্ষাটির নাম ছিল ‘লেবেলড রিলিজ।’ মূল মঙ্গলের মাটি পরীক্ষা করার জন্যই পাঠানো হয় ওই ল্যান্ডার। তখনই নাকি সব প্রশ্নের উত্তর মোটামুটিভাবে পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন নাসার এই সাবেক বিজ্ঞানী।

Related Post

জানা যায়, ওই পরীক্ষায় মঙ্গলের মাটিতে কিছু পৌষ্টিক উপাদান পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে, যদি মঙ্গলে প্রাণ থাকতো তাহলে তারা খাবার খেয়ে বায়বীয় পদার্থ বর্জন করতো, যা মূলত তাদের পরিপাকক্রিয়ার প্রমাণ দিতো। সেই প্রমাণ নাকি তখন ওই ল্যান্ডারের রেডিওঅ্যাকটিভ মনিটরে পাওয়া গেছে বলে জানান ওই বিজ্ঞানী।

ওই বিজ্ঞানীর দাবি, ওই মাটি নিয়ে নাসা দ্বিতীয়বারও পরীক্ষা করে দেখেছিল। দু’বারই নাকি প্রাণের প্রমাণই উঠে আসে। তবে নাসা ওই পরীক্ষার ফলাফলের প্রতিলিপি তাদের ল্যাবরেটরিতে বের করতেই পারেনি। তাই সঠিক ফলাফল সামনে আসেনি শেষ পর্যন্ত।

লেভিন ওই আর্টিক্যালে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছেন যে, আদতে আসল প্রাণের প্রমাণ না পেলেও প্রাণের মতো কিছুর হদিস ল্যান্ডারটি পেয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে নাসা আর কখনও প্রাণ পরীক্ষা করার কোনও যন্ত্র মঙ্গলে পাঠায়নি বলে উল্লেখ করেছেন এই বিজ্ঞানী।

তবে কয়েক দশক বাদে আরও উল্লেখযোগ্য কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। নাসার ‘কিউরিওসিটি’ অরগ্যানিক জিনিসের চিহ্ন পাওয়া গেছে মঙ্গলে। এমনকি একসময় লবণহ্রদ ছিল বলেও প্রমাণ উঠে এসেছে নাসার কাছে।

গহ্বরের গায়ে লবণের পুরু ওই আস্তরণ দেখেই গবেষকরা মনে করছেন যে, মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ দিচ্ছে ওই লবণের আস্তরণ। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর সঙ্গে মঙ্গলের জলবায়ু বৈচিত্রের বিশেষ কোনো ফারাক নেই। তাই পৃথিবীর মতোই লবণ পানির হ্রদ শুকিয়েছে মঙ্গলেও। কীভাবে সেটি পরিবর্তিত হয়েছে, তা জানতেই গবেষণার জন্য গেল ক্রেটারকে বেছে নেওয়া হয়।

আগামী গ্রীষ্মে নাসার ‘মার্স ২০২০’ রোভার লঞ্চ করবে। মঙ্গলে পৌঁছাবে ২০২১-এর ফে্বরুয়ারি মাসে। তাতে এমন একটি যন্ত্র থাকবে যাতে করে অতীতে থাকা প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ উঠে আসবে।

This post was last modified on অক্টোবর ১৬, ২০১৯ 6:00 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

মুঠো মুঠো ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট খেলে কিডনিতে কী পাথর জমতে পারে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি বিষয় হলো সাপ্লিমেন্ট যখন খুশি তখন খাওয়া যায় না।…

% দিন আগে

নতুন ইউনিকর্ন বাইক নিয়ে এলো হোন্ডা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হোন্ডার জনপ্রিয় মোটরসাইকেল সিবি ইউনিকর্ন সম্প্রতি নতুন রূপে আন্তর্জাতিক বাজারে…

% দিন আগে

২০২৫ সালেই মুক্তি পাবে সিয়াম অভিনীত ‘জংলি’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৪ সালেই মুক্তির কথা ছিল এম রাহিম পরিচালিত সিয়াম আহমেদ…

% দিন আগে

বেলুনের ভিতর ঢুকে বিয়ের কনে: নিন্দার ঝড় নেটমাধ্যমে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশাল গোলাকৃতি একটি বেলুনের ভিতর লেহঙ্গা পরে রয়েছেন এক বিয়ের…

% দিন আগে

খেজুরের রস ও শীত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৭ পৌষ ১৪৩১…

% দিন আগে

প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে দুধ কখন ও কতোটা খেলে উপকার হবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি দুধ কোন সময় খাচ্ছেন ও কতোটুকু খাচ্ছেন, তা জানা…

% দিন আগে