দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অভিনেতা আ.খ.ম হাসান। টিভির বিভিন্ন নাটকের চরিত্রে তার অভিনয় সব সময় প্রশংসিত। এবার কুঁচকুচে কালো গায়ের রং-এ দেখা যাবে আ.খ.ম হাসানকে।
সম্প্রতি স্বপ্নের কারিগর-এর ব্যানারে নির্মিত হলো একক একটি নাটক যার নাম ‘কালো জামাই’। এই নাটকে তিনি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নাটকটি রচনা করেছেন রাজীব মণি দাস এবং পরিচালনা করেছেন আর আইচ সোহেল।
‘কালো জামাই’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে, আবুল কালাম (আ.খ.ম হাসান) এর গাঁয়ের রং হলো কুঁচকুচে কালো। তাই গ্রামের মানুষের কাছে সে কালু নামেই অধিক পরিচিত। তবে কালু সব সময়ই হাসি-খুশি থাকেন। বাসর ঘরে কুচকুচে কাল কালুকে দেখে তার স্ত্রী মিথিলা (অভিনেত্রী অরিন) অজ্ঞান হয়ে পড়েন। গ্রামের মানুষের কাছে রটে যায় যে, কালুর বউ বাসর ঘরে ফিট খাইছে। এই ঘটনার পর গ্রামের অনেকেই কালুকে এবার কাউয়া বলতে শুরু করে দেন।
অপরদিকে কালুর বায়রা ভাই রিজু (নিথর মাহবুব) সুন্দর হওয়ার কারণে নিজের প্রশংসায় নিজেই সে সব সময় পঞ্চমুখ থাকেন। তিনি সুযোগ পেলেই নিজের সঙ্গে তুলনা করে কালুকে হেয় করার চেষ্টাও করেন। তিনি নিজেকে অনেক স্মার্ট মনে করেন। রিজুর স্ত্রীও (সীমানা শীলা) সাদা জামাই পেয়ে কিছুটা অহংকারী হয়ে ওঠেন, জামাইকে খুশি রাখতে সবসময় সাজগুজ করতে ব্যস্ত থাকে সে।
অপরদিকে কালুর স্ত্রী কাওকে কিছু না বলে বাবার বাড়িতে চলে যায়। রাতের আঁধারে কালু তার শশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে ডাকাত সন্দেহ করে ওই গ্রামের মানুষ তাকে গণধোলাই দেয়। গ্রামের মানুষ মনে করে মুখে কালি মেখে কালু ডাকাতি করতে এসেছে। কালুর বায়রা ভাই এবং শ্বশুর তাকে শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীর কাছ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তারা পরিবারের সবাই মিলে মিথিলাকে বুঝায়। তবে তিনি কালুর সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। কালো হওয়ার জন্য কালুর দোষটা আসলে কি বুঝতে পারে না সে। কালু ভাবে ফর্সা কিংবা কালো সবই তো আল্লাহপাকেরই সৃষ্টি। কালু মনে মনে স্থীর করে নেয় তার ভাগ্যে যা লিখা রয়েছে তাই হবে। এমনি দ্বিধা-দন্দ্বের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় ‘কালো জামাই’ নাটকের গল্পৈর কাহিনী।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, অরিন, নিথর মাহবুব, বিপ্লব প্রসাদ, সীমানা শীলা, আফরোজা হোসেন, জাদু ফরিদ, আফতাব উদ্দিন, ফরহাদ সরকার, নবাব তুহিন প্রমুখ।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নাটকটি যেকোনো বেসরকারি একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে খুব শীঘ্রই প্রচারিত হবে।