দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টয়লেটে গিয়ে স্বাধীন মতো কাজ সারবেন আর কাজে ফাঁকি দেবেন সেটি হবে না। এখন থেকে টয়লেটে ১৫ মিনিটের বেশি থাকা যাবে না! তবে ভয়ের কিছু নেই এই নিয়ম আমাদের দেশে নয়, চীনের নিয়ম!
টয়লেটে গিয়ে স্বাধীন মতো কাজ সারবেন আর কাজে ফাঁকি দেবেন সেটি হবে না। এখন থেকে টয়লেটে ১৫ মিনিটের বেশি থাকা যাবে না! তবে ভয়ের কিছু নেই এই নিয়ম আমাদের দেশে নয়, চীনের নিয়ম!
অনেক সময় দেখা যায় অফিসে কাজের ফাঁকে নিজেকে সময় দিতে অনেকেই টয়লেটে গিয়ে মোবাইল ফোন, খবরের কাগজ কিংবা ম্যাগাজিন পড়তে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অর্থাৎ ওই কাজটি সারার ফাঁকে এই কাজগুলোও করে থাকেন অনেকেই। তবে সেই দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। এবার সেখানেও কর্তৃপক্ষ চালাচ্ছে নজরদারি! কারণ হলো চীনের স্মার্ট পাবলিক টয়লেটে থাকছে এক রকমের টাইম সেন্সর। এতে করে অফিসের কোনও কর্মীই টয়লেটে গিয়ে বেশিক্ষণ সময় কাটাতে পারবেন না।
এক্ষেত্রে টয়লেটকারীদের সময়সীমাও বেধে দেওয়া হয়েছে। মাত্র ১৫ মিনিট থাকা যাবে ওই টয়লেটে। এর বেশি সময় থাকাই যাবে না টয়লেটে। চীনের সাংহাইয়ে এমন অভিনব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শহরের বিভিন্ন স্থানে ১৫০টি স্মার্ট পাবলিক টয়লেট তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে জানা যায়, প্রতিটি কিউবিকলেই থাকছে হিম্যান বডি সেন্সর। এটি সময়সীমা অনুযায়ী একটি রে-সেন্সর করার মাধ্যমে জানান দেবে যে, ভেতরে কোনও ব্যক্তি রয়েছেন কিনা। সকল তথ্যই সরকারের কাছে জমা হতে থাকবে। সাম্প্রতিক সময় সরকারের তরফ হতে এমন নতুন এক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়েছে যে, শুধুমাত্র সময় অনুযায়ী কেও টয়লেটে রয়েছে কিনা তাই দেখার দায়িত্ব পালন করবে তা কিন্তু নয়। এই সেন্সরের মাধ্যমে আরও বোঝা যাবে যে, ওই কিউবে কতোটা পরিমাণ সতেজ বাতাস ও পানি মজুত রয়েছে।
আমাদের দেশেও কবে দেখা যাবে অফিস পাড়ায় এমন টয়লেট বসে গেছে। আর কোনো এমপ্লয় অফিসের সময় কাজে ফাঁকি দিয়ে বেশি সময় ধরে এই কাজটি করতে পারবেন না। কারণ কেও টয়লেটে ঢুকলে তাকে তো আর বের করে আনা যায় না। সে ইচ্ছে করেই বসে সময় ক্ষেপণ করছেন নাকি প্রয়োজনে রয়েছেন তা বোঝার কোনো উপায় বর্তমানে নেই।