দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রযুক্তির এই যুগে রোবট নামটি আমাদের সকলের সাথে পরিচিত। রোবট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশিষ্ট যন্ত্র যা মানুষের কল্যাণে বা কার্যক্রমকে সহজ করার ক্ষেত্রে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এই রোবট নিয়ে হাজারো ভয় সৃষ্টি হয়েছে!
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রত্যাশা অনেক। রোবট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিকিৎসাবিজ্ঞান থেকে শুরু করে আমাদের নানাবিধ গবেষণা, কৃষি কাজ ও মহাকাশ গবেষণার কাজে ব্যবহার বিদ্যমান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কে কাজে লাগিয়ে নানাবিধ জটিল কাজ যা মানুষ দ্বারা অসম্ভব তাও সম্ভবে পরিণত করা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা সংগঠিত করা হয়েছে শিল্প-কারখানার নানাবিধ জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজকর্ম। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা করা যাচ্ছে শত শত মানুষের কাজ এক নিমিষেই। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর মানুষের এত নির্ভরশীলতা হয়তো একদিন কাল হয়ে দেখা দিতে পারে। এ রোবট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যন্ত্র দ্বারা হয়তো ধ্বংস হতে পারে মানবকুল।
আমাদের পৃথিবীতে নানাবিধ বিজ্ঞ বিজ্ঞানীদের মতবাদ অনুযায়ী জানা যায় যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে তাদের আশঙ্কা অনেক। স্টিফেন হকিং থেকে শুরু করে পৃথিবীর সকল নামকরা বা শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীগণ এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা রোবটের দ্বারা কাজ কর্মের ক্ষেত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা বলেছেন এটি এক সময় হয়তো মানবজাতির জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। মানবজাতি এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটের উপর এমনভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে যা দ্বারা এদের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার সাথে সাথেই যেন পিছিয়ে পড়বে মানবসভ্যতা। রোবট আসলে নিজে থেকে সচেতন হয়ে উঠে না তাদেরকে তৈরি করে মানব জাতি কিন্তু সেই তৈরি করা যদি হয় ধ্বংসের জন্য প্রস্তুতকৃত কোন যন্ত্র সে ক্ষেত্রে মানবজাতি পড়বে মহা বিপাকে।
রোবট আসলে নিজে থেকে সচেতন হয়ে উঠতে পারে না এটি কখনো সম্ভব নয় কারণ এদের মধ্যে মানুষের বিরুদ্ধে মনোভাব তৈরি হওয়া সম্ভব নয়। এটি মানুষের তৈরি করাই নানাবিধ প্রোগ্রাম ও কার্যক্রম যা কখনোই ভয়ের কারণ হতে পারে না। সাম্প্রতিক নতুন বইয়ের একথা প্রকাশিত হয়। এসব কোন রোবট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টিকারী যন্ত্রসমূহ এতটাই দক্ষ হয়ে উঠেছে যে এদের দ্বারা আমরা বর্তমানে প্রায় সকল কাজ সক্ষম করতে পারি সম্পন্ন করতে সক্ষম হই। তবে এসকল রোবট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যন্ত্র তৈরি করার সময় যদি দুর্ঘটনাবশত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে এদেরকে ভুল কোন কাজ করার লক্ষে তৈরি করা হয় বা লাগানো যায় সে ক্ষেত্রে আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। অনেক সময় হলিউডের নানাবিধ সিনেমাতে দেখা যায় যে রোবট বা যন্ত্র গুলো নিজে থেকে সচেতন হয়ে উঠেছে এবং তারপরও মানুষদেরকে ঘৃণা করতে শুরু করে এবং মানুষদের মেরে ফেলে এটি এআই অ্যান্ড দি প্রবলেম অব কন্ট্রোল’ নামের বইতে প্রকাশিত করা হয়। কিন্তু আসলে বাস্তবতা ভিন্ন কথা প্রকাশ করে রোবট হচ্ছে মানুষের তৈরি যাতে কোন ধরনের মানবিক অনুভূতি থাকে না। অতএব এই অহেতুক বিষয় নিয়ে কোন প্রকার উদ্বেগ প্রকাশ করার মানে হয়না।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক রাসেল বলেন রোবটের মনোভাব নিয়ে কোন প্রকার চিন্তা করার প্রয়োজন নেই আসলে রোবটের কর্মদক্ষতা ও এদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। তবে সে ক্ষেত্রে এমন একটি যন্ত্র খারাপ কোন কাজের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয় বা কাজ করতে শুরু করে যা মানব সভ্যতার জন্য সঠিক নয় সেটি আমাদের মানব সভ্যতা ও মানব জীবন ব্যবস্থার জন্য ভয়াবহ হয়ে দাঁড়াতে পারে। রোবট তৈরি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টির যন্ত্র তৈরীর ক্ষেত্রে এদের তৈরি সংস্থা ও ব্যক্তিবর্গের প্রতি সঠিক নজরদারি প্রদান করতে হবে।
This post was last modified on নভেম্বর ৬, ২০১৯ 10:19 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট বেলায় কিশোর পত্রিকার পাতায় আমরা অনেকেই এমন খেলা খেলেছি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি করলা খেলে সুস্থ থাকে শরীর। তবে সঙ্গে বা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই বছরের জুন মাসে শেষ হচ্ছে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সার্ভিস…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শাহ আবদুল করিম এবং হাসন রাজার ভাটির দেশ থেকে ইট-পাথরের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি দেখে নিজেদের দিকে তাকালে ‘লজ্জা’ পান বলে…