দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক বিস্ময়কর ফুলকপির চাষ করে তাক লাগিয়ে দিলেন। ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামশায়ার কাউন্টির হালাম গ্রামের পিটার গ্লেজব্রুক বিস্ময়কর ৬০ পাউন্ড ওজনের ওই ফুলকপিটি ফলিয়েছেন!
ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামশায়ার কাউন্টির হালাম গ্রামে বসবাসকারী পিটার গ্লেজব্রুক ছিলেন একজন চার্টার্ড সার্ভেয়ার। চাকরির পাশাপাশি তার অন্যতম শখই হলো সবজি চাষ। তবে তিনি মোটেও সাধারণ কোনো কৃষকের মতো নন। সবজি চাষ করে পিটার গ্লেজব্রুক বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন। কারণ তার শখই হলো সবজিই চাষ করবেন এবং সেটির আকার-আকৃতি এবং পরিমাপেও যেনো সবচেয়ে বৃহৎ হয়। এমন সবজি চাষ করেই তিনি নাম করেছেন বিশ্বময়। তারমধ্যে হলো ২০১৪ সালে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ উৎপাদন করে তাক লাগিয়েছেন। ৬ দশমিক ৬৫ কেজি ওজনের এই পেঁয়াজ উৎপাদন করে তিনি তার আগের রেকর্ডও ভাঙেন। ইতিপূর্বে তিনি ৫ দশমিক ৪ কেজি ওজনের পেঁয়াজ উৎপাদন করেন। যদিও তার সে রেকর্ড পরে ভেঙে ফেলেন আরেক জন ব্রিটিশ সবজি উৎপাদক টনি গ্লোভার। গ্লেজব্রুককে ছাড়াতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টার পর সাড়ে ৮ কেজি ওজনের পেঁয়াজ উৎপাদন করতে সক্ষম হন তিনি।
৭০ বছরোর্ধ্ব গ্লেজব্রুক কেবল শুধু বড় পেঁয়াজ উৎপাদনই করেছেন তা নয়। ইতিপূর্বে তিনি অন্যান্য সবজি উৎপাদন করেও রেকর্ড করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে- ৬০ পাউন্ড ওজনের ফুলকপি, ২১ ফুট লম্বা বিটরুট এবং ১৯ ফুট ৫ ইঞ্চি লম্বা একটি গাজর। এছাড়াও সবচেয়ে বড় আলু, শালগম ছাড়াও অন্যান্য সবজি উৎপাদন করে রেকর্ড গড়েন তিনি।
সবচেয়ে বড় ফুলকপি উৎপাদকের পুরস্কার জয়ের পর ডেইলি মেইলকে তিনি জানিয়েছেন, একটি বড় আকৃতির সবজি চাষ করতে অনেক অর্থ এবং সময় তাকে ব্যয় করতে হয় এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজও করতে হয়। একটি ফুলকপি দিয়ে রাজপরিবারের সবাইকে খাওয়ানো সম্ভব। ১৯৯৯ সালের পর অন্য কেও এতো বড় ফুলকপি উৎপাদন করতে পারেননি।
উল্লেখ্য যে, চাকরি করার পাশাপাশি শখের বশে ৩০ বছর ধরে স্ত্রী মেরির সহযোগিতায় সবজি চাষ করে আসছেন তিনি। সবজি চাষের জন্য তিনি জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছেন নিজের বাড়ির আঙিনা। সেখানে তিনি গ্রিনহাউজের মাধ্যমে এসব সবজি চাষ করে চলেছেন। তিনি নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন বৃহৎ আকৃতির বিভিন্ন সবজি প্রতিযোগিতায়।