দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ আগেও আমরা দেখেছি নাসায় লাখ লাখ টাকা বেতনে ঘুমানোর চাকরির কথা। তবে এবার নাসার নয় অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের খবর বেরিয়ে এসেছে সংবাদ মাধ্যমে। ঘুমাতে সবাই ভালোবাসে। তবে যদি সেটি হয় চাকরি, তবে তো আরও মজার বিষয়, ঘুমিয়েই দিন পার করা যাবে। এরকম যারা ভাবছেন তাদেরকে চাকরি দিচ্ছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের একটি প্রতিষ্ঠান। শান্তিতে প্রতিদিন ৯ ঘণ্টা ঘুমানোই একটা চাকরি! এভাবে সপ্তাহে ১০০ ঘণ্টা ঘুমালেই বেতন পাওয়া যাবে এক লাখ টাকা!
আগেও আমরা দেখেছি নাসায় লাখ লাখ টাকা বেতনে ঘুমানোর চাকরির কথা। তবে এবার নাসার নয় অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের খবর বেরিয়ে এসেছে সংবাদ মাধ্যমে। ঘুমাতে সবাই ভালোবাসে। তবে যদি সেটি হয় চাকরি, তবে তো আরও মজার বিষয়, ঘুমিয়েই দিন পার করা যাবে। এরকম যারা ভাবছেন তাদেরকে চাকরি দিচ্ছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের একটি প্রতিষ্ঠান। শান্তিতে প্রতিদিন ৯ ঘণ্টা ঘুমানোই একটা চাকরি! এভাবে সপ্তাহে ১০০ ঘণ্টা ঘুমালেই বেতন পাওয়া যাবে এক লাখ টাকা!
তবে সেজন্য কয়েকটা শর্তও রয়েছে। যদিও শর্তগুলো এমন আহামরি কিছু নয়। প্রথম শর্ত হলো, সপ্তাহে ১০০ ঘণ্টা ঘুমোতে হবে। চাকরির জন্য তারাই যোগ্য যারা খুব কম জায়গা বা আরামদায়ক পরিবেশ-পরিস্থিতি না পাওয়া সত্ত্বেও অনায়ামে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন! এই অভ্যাস যাদের মধ্যে কেবলমাত্র তারা ঘুমের চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
স্টার্ট-আপ কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটে ‘স্লিপ ইন্টার্নশিপ’ পদে চাকরির জন্য আবেদনপত্র চেয়েছে। ইচ্ছুক ব্যক্তিরা ওই ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট ট্যাব-এ ক্লিক করে এমন চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। তবে অফিসের ড্রেসকোডও রয়েছে, সেটা হলো পাজামা। অর্থাৎ পাজামা পরেই ঘুমিয়ে পড়তে হবে।
Wakefit.co নামক এই সংস্থাটির ডিরেক্টর চৈতন্য রামালিঙ্গে গৌড়া বলেছেন, ‘দেশের সেরা ঘুমকাতুরেদের আমরা চাকরি দেবো। জীবনে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর জন্যই আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যেসব মানুষ ঘুমাতে ভালোবাসেন তাদের মাধ্যমে আমরা অন্যদের বার্তা দিতে চাই। সেই বার্তাটি হলো ঘুমের কোনও বিকল্প নেই। আপনার মানসিক এবং শারীরিক বিকাশ ঠিকঠাকভাবে পরিচালনা করতে ঘুমই হলো সেরা একটি আধার।’
তবে এই কর্মীদের পর্যবেক্ষণে রাখবে প্রতিষ্ঠানটি। ঘুমের চাকরিতে যারা যোগ দেবেন তাদের ঘুমানোর সময় ট্র্যাকও করা হবে। এমনকি যে বিছানায় তারা ঘুমাবেন সেটি ঘুমানোর আগে এবং পরে পরীক্ষাও করা হবে। সর্বশেষে কর্মীদের ঘুমানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি রিপোর্টও পেশ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।