দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য ভারত অর্থাৎ কোলকাতা ভ্রমণ অন্যতম আকর্ষণীয় একটি স্থান তাতে সন্দেহ নেই। আজ রয়েছে কোলকাতার কোথায় কোথায় ভ্রমণ করবেন সেই বিষয়গুলো।
অনেকেই চিকিৎসার প্রয়োজনেও ভারতে যান। তবে এর মধ্যেও আবার অনেকেই যান কেবলমাত্র বেড়ানোর জন্য। তবে যারা বেড়াতে যান তারা হয়তো জানেন না কিভাবে কোথায় কোথায় বেড়াবেন। আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি। আজ সংক্ষিপ্ত আকারে ভারতের কয়েকটি পর্যটন স্পট সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো। ভারতে যাওয়ার বিষয়টি গতকালই (ভ্রমণ: ভারত যাবেন যেভাবে) আপনাদের উল্লেখ করেছি।
সল্ট লেক অভিজাত এলাকা
কোলকাতায় গিয়ে থাকার জন্য বিভিন্ন হোটেল রয়েছে। এই সব হোটেলে আপনি খুব স্বাচ্ছন্দে থাকতে পারেন। আবার সল্ট লেক এলাকায় অনেক অভিজাত বাড়ি রয়েছে যারা ফ্যামিলি নিয়ে গেলে ভাড়া দেন। সেখানে একটি ফ্লাট নিয়েও আপনি থাকতে পারবেন। সাধারণ হোটেলে ৬ শত টাকা হতে ৫ হাজার টাকায় রুম পাবেন। আর ফ্লাট বাড়ি একদিনের জন্য ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৮ বা তারও বেশি টাকা আপনাকে গুণতে হবে।
বাংলাদেশীদের জন্য নিউ মার্কেট এলাকার হোটেলই ভালো। কারণ ওখানে মুসলিম খাবার হোটেল পাবেন। বহু মুসলিম খাবার হোটেল রয়েছে কোলকাতা নিউ মার্কেট এলাকায়। বিশেষ করে কলিং লেন এলাকায় এইসব হোটেল বেশি পাওয়া যায়। এই সব এলাকায় মসজিদও রয়েছে নামাজ আদায়ের জন্য। তবে সল্ট লেক এলাকায় গেলে মসজিদ খুঁজে পাবেন না।
কোলকাতার একটি অভিজাত মার্কেট
কেনা কাটার জন্য নিউ মার্কেট এলাকায় ভালো। সেখানে বহু কেনাকাটার দোকান রয়েছে। বিশাল এলাকায় আপনার ইচ্ছা মতো কেনা কাটা করতে পারবেন। তাছাড়াও বড় বাজারে গিয়েও কেনা কাটা করতে পারেন। সেখানেও এম বাজারের মতো অনেক নামি দামি শপিং স্টোর রয়েছে।
কোলকাতা শহরে আসলে বেড়ানোর মতো তেমন কোনো জায়গা নেই। বেড়াতে গেলে আপনাকে যেতে হবে পুরি বা দিঘাতে। সেখানে সমুদ্র সৈকত রয়েছে দেখার মতো। তাজমহল সহ শত শত বেড়ানোর স্পট রয়েছে ভারতে। যা আপনি মাস ধরে থাকলেও শেষ করতে পারবেন না। তবে পুরি বা দিঘাই যেতে আপনাকে এক্সপ্রেস ট্রেনে যেতে হবে। ভারতে ট্রেন যাত্রা অনেক ভালো একটি বিষয়।
সাইন্স সিটির মাঠের একটি রাইডে ঠিক এভাবেই লেখা রয়েছে!
শহরের মধ্যে সর্টকার্ট বেড়াতে হলে আপনি যেতে পারেন সাইন্স সিটিতে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি শহরের মধ্যে বেড়ানোর একটি অন্যতম স্থান। নিউ মার্কেট এলাকা থেকে আপনি সাইন্স সিটিতে যেতে পারবেন। ট্যাক্সি ক্যাবে যেতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা। কোলকাতা শহরে কোনো যানজট নেই। যে কারণে এক প্রান্ত হতে আরেক প্রান্ত যেতে খুব বেশি সময় লাগে না।
যানজট মুক্ত কোলকাতা শহর
আপনি ইচ্ছে করলে পাতাল রেলেও চড়তে পারেন। নিউ মার্কেট এলাকায় পাতাল রেলের স্টেশন রয়েছে। আপনি ইচ্ছে করলে সেখান থেকে ২০ বা ৩০ টাকার টিকিট কেটে ৬/৭ স্টেশন ঘুরে আবার ফিরে আসতে পারেন। পাতাল রেলে চড়তে আপনার বেশ ভালোই লাগবে। আপনি ইচ্ছে করলে হাওড়া ব্রিজ যেতে পারেন। যদিও সেখানে দেখার মতো তেমন কিছু নেই। তবে ব্রিজটি একটি ঐতিহাসিক বা নাম করা ব্রিজ গঙ্গ নদীর উপর প্রতিষ্ঠিত। তাই সেখানে গিয়ে আপনি দেখে আসতে পারেন হাওড়া ব্রিজ। তবে ব্রিজের কাছে গিয়ে ছবি তুলতে যাবেন না। কারণ ব্রিজের ছবি তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে দূরে গিয়ে দু’একটি ছবি আপনি তুলতেই পারেন। ব্রিজের আশে পাশে অবশ্য লঞ্চে চড়ে বেড়ানো যেতে পারে। হয়তো সকালে গিয়ে বিকেল পর্যন্ত ঘুরে বেড়াতে পারেন।
আপনি যেতে পারেন রবীন্দ্র সদনে। সেখানে গিয়ে কবি গুরুর অনেক স্মৃতিময় অনেক কিছুই আপনাকে মোহিত ও হৃদয় তাড়িত করবে তাতে সন্দেহ নেই।