দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কক্সবাজার ঘুরতে গেলে আপনাকে যেতে মারমেইড বিচ রিসোর্ট এ। সেখানে ঘরে বসে বিচের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পাবেন। সত্যিই এক অপূর্ব প্রকৃতি।
‘বিচ’ কথাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে যেনো সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন শুনতে পাওয়া যায়। মনে পড়ে যায় উপচেপড়া ঢেউয়ে গা ভাসিয়ে দেওয়া, ঠাণ্ডা বাতাসে পা ভিজিয়ে রাতে সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকার কথা। অন্তহীন সমুদ্রের সূর্যাস্ত মুগ্ধ নয়নে অনুধাবন করা ও মজার স্বাদের সিফুড খাওয়ার অভিজ্ঞতার কথাও মনে পড়ে যায়। এই বৈচিত্র কিন্তু বিদেশি বৈচিত্র্য নয়, এটি আমাদের দেশের কক্সবাজারের কথা। এটি কক্সবাজারের মারমেইড বিচ রিসোর্ট এর কথা।
সত্যিই এক অপরূপ প্রকৃতির সৌন্দর্য। প্রকৃতির আলোছায়ার মাঝে সেখানে সাজানো হয় খাবার টেবিল এবং পরিবেশনও করা হয় চমৎকারভাবে। দেখে যে কেও মুগ্ধ হবেন।
কলাতলী হতে ২৫-৩০ মিনিট টুকটুক করে যাওয়া যায় সেখানে। চারপাশের পরিবেশে মুগ্ধ হওয়া এবং সেখানকার খাবারের অর্ডার দিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ার মজায় আলাদা। নীল পদ্মা ফুটে রয়েছে যত্নে ছোটরা খোলামেলা জায়গা পেয়ে দারুণ মজা করছে। এক অন্য রকম পরিবেশ।
আপনি বাইরে থেকেই দেখতে পাবেন খাবার তৈরির কিচেন। জুস কর্নার পৃথকভাবে সাজানো নানা ফল দিয়ে। গ্লাসে ফল কেটে জুস পরিবেশন করা হয়। জুস খেতে খেতে ঘুরে দেখা যায় চারপাশে।
পেঁচার দ্বীপ হিসেবেও খ্যাত এই জায়গাটি, ছোট নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। অনেক সময় সন্ধ্যায় গানের ব্যবস্থাও থাকে। অবাক হতে পারেন দেখে আগুন দিয়ে বৈচিত্র্যময় খেলাসমূহ। বালুর ওপরে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন মূর্তি। রঙিন নৌকা, লোহা দিয়ে বানানো বিভিন্ন সেপের জিনিসপত্র, সেখানে আপনি নানা পোজে ছবি তুলতে পারবেন।
এখানকার রেস্টুরেন্টে রয়েছে জুস, সিফুড, সালাদ, কালামারি ফ্রাই, গ্রিল কালামারি, এ সব কিছুর যেনো অপূর্ব স্বাদ। সেই সঙ্গে আচারের যে সসটা আপনাকে দেবে, সেটিও বেশ মজার। দুপুরের খাবার খেতে গেলেও মজার সময় পার করতে করতে দেরি হয়ে যায় খাবার খেতে। সবাই সবার পছন্দমতো খাবারের অর্ডার দিতে পারবেন, তাই খাবারের বিভিন্ন রূপ দেখেও আপনারা মুগ্ধ হবেন। আবার খাবার খেয়ে তৃপ্তিও পাবেন।
খাওয়া শেষে আবার খোলা জায়গায় বসতে পারবেন সেই প্রকৃতির স্বাদ নিতে। ওরা অতিথিদের সমুদ্রের পাড়ে বসার জন্যও সুন্দর সুন্দর ব্যবস্থা করে রেখেছে। চাইলে আপনি সেখানে বসেও খাবার খেতে পারবেন। মওসুমটা এখন এতোই সুন্দর, কিছুদিন বেড়িয়ে এলে আপনার ভালোই লাগবে। প্রতিদিনের ব্যস্ত সময় থেকে কিছুটা বিরতি নিতে বেড়িয়ে আসুন প্রকৃতির কাছাকাছি। লেখিকা রাহনুমা শর্মীর লেখা অবলম্বনে।