দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হঠাৎ করেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। আর হার্ট অ্যাটাক হলে আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি। বুঝে উঠতে পারে না আসলে তখন কী করা উচিত। আজ জেনে নিন হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন।
হার্ট যখন অপর্যাপ্ত ও অনিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করে ঠিক তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। অ্যাটাকের আগের লক্ষণগুলো সম্পর্কে যতো বেশি করে জানা যাবে, ততোই আগাম সতর্ক হওয়া যাবে। তবে নিজের কিংবা অন্য কারও হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করলে হাসপাতালে নেওয়ার আগ পর্যন্ত কিছু নিয়ম মানলে অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
# অ্যাটাকের শুরুতেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাঁ হাতে ব্যথা দেখা দেয়। তখন নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
# বুকে ব্যথাই হবে এমন নিশ্চয়তা নেই।
# অ্যাটাকের পূর্বে চোয়ালে তীব্র যন্ত্রণা হলে তখন বেশি সাবধান হতে হবে।
# বমি বমি ভাব বা অসম্ভব ঘামও হতে পারে।
# হার্ট অ্যাটাক হলে মোটেও ভয় পাবেন না।
# অ্যাটাকের ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে খুব দ্রুত জোরে এবং ঘন ঘন কাশি দিন, কাশির সঙ্গে কফও বের করার চেষ্টা করুন।
# প্রতিবার কাশি দেওয়ার আগে দীর্ঘ শ্বাস নিন। এভাবে ঘন ঘন কাশি এবং দীর্ঘশ্বাস প্রতি দুই মিনিট পর পর তা করতে থাকুন। এতে করে আপনার হার্ট কিছুটা হলেও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করবে। কারণ হলো দীর্ঘশ্বাসের কারণে মানুষের শরীরে অক্সিজেন পরিবহন বেশি হয়। ঘন ঘন এবং জোরে জোরে কাশি দেওয়ার কারণে বুকে যে চাপের সৃষ্টি হয় এতে হার্ট পর্যাপ্ত এবং নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালনের জন্য প্রস্তুত হয়।
# আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঝিমিয়ে পড়তে দেবেন না; বরং তার সঙ্গে কথাও বলতে থাকুন।
# রোগীর মাথা ৩০-৪৫ ডিগ্রি উঁচু করে শুইয়ে রাখতে হবে, যাতে করে তার শ্বাস নিতে সুবিধা হয়।
# রোগীকে শুইয়ে দুই হাতের তালু পরস্পর আলিঙ্গনাবদ্ধ (ইন্টারলক) করে কার্ডিয়াক পালমোনারি রিসালিটেশন (সিপিআর) পদ্ধতিতে পুরো শরীরের ভর দিয়ে ঠিক বুকের মাঝখানে পাম্প করতে থাকুন। মুখের মধ্যে মুখ লাগিয়ে দম দিন এবং নিন। এভাবে ১৬/১৮ সেকেন্ডের মধ্যে ৩০ বার পাম্প করতে থাকুন।
# রোগীর নাক বন্ধ করে থুতনিটি উঁচু করে ধরুন। আবারও বুকে পাম্প করুন। পুরো সাইকেলটা কমপক্ষে ৫ বার করুন।
# এগুলো করতে করতে রোগীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিকটস্থ হাসপাতালে নিন।
কেও যদি বুঝতে পারেন যে তার হার্ট অ্যাটাক হতে চলেছে, তখন বিলম্ব না করে অ্যাসপিরিন ৩০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট সরাসরি চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। কারণ হলো এই অ্যাসপিরিন হার্ট অ্যাটাকে ৩০ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকি কমাতে পারে। অন্যান্য অসুখ থাকলেও এটা সেবনে কোনো রকম ক্ষতি নেই।
এছাড়াও নাইট্রেট স্প্রে কিংবা ট্যাবলেট জিহ্বার নিচে দিতে পারেন। তারপর গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট খেয়ে একটা ইসিজি করে হার্ট অ্যাটাকের মার্কার হিসেবে রক্তের ট্রপোনিন পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
সংবাদ মাধ্যমকে উপরোক্ত পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান, হৃদরোগ বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২০ 2:59 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় অজান্তেই ঘটে যাওয়া কিছু ভুলে এমন সমস্যাও দেখা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বছরের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ২ জানুয়ারী ওটিটি প্লাটফর্ম বঙ্গ-তে মুক্তি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে ওষুধ কিনে খেলে লাভের চেয়ে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), দেশের আইটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে যে, অবশেষে গাজায় চলমান সহিংসতা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৮ ডিসেম্বর কর্নাটকের সক্লেশপুরের হাদিগে গ্রামে…