দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২৭ মার্চ ২০২০ খৃস্টাব্দ, ১২ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, ১ শাবান ১৪৪১ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
পাবনা জেলা হতে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চাটমোহর উপজেলার কেন্দ্রস্থলে প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের অপূর্ব এক নিদর্শন হলো ঐতিহাসিক চাটমোহর শাহী মসজিদ।
মসজিদ হতে প্রাপ্ত শিলালিপির তথ্য মতে, ১৫৮১ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট আকবরের শাসনামলে সৈয়দ নেতা আবুল ফতে মোহাম্মদ মাসুম খাঁর অর্থায়নে তারই সহোদর মুহাম্মদ বিন তুর্কি খান কাকশাল চাটমোহরে এই ঐতিহাসিক মসজিদটি নির্মাণ করেন। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট চাটমোহর শাহী মসজিদের নির্মাণ কৌশলে প্রাচীন সুলতানী স্থাপত্যের প্রভাবও রয়েছে। বগুড়ার খেরুয়া মসজিদের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ ছোট ছোট পাতলা জাফরী ইটের সমন্বয়ে নির্মিত চাটমোহর শাহী মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট, প্রস্থ ২২ ফুট ৬ ইঞ্চি ও উচ্চতা ৪৫ ফুট।
চাটমোহর শাহী মসজিদের দেওয়ালে থাকা প্রাচীন ভাস্কর্যগুলো মসজিদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় একটি দিক। ১৯৮০ দশকে বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্র অধিদপ্তর পরিপূর্ণভাবে মসজিদটি নির্মাণ করেন। তবে পুনর্নির্মাণের কয়েকবছর পর মসজিদের ৩টি গম্বুজ ও ছাদ প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীকালে পুরাতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে মসজিদ সংস্কার ও সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। চাটমোহর মসজিদ হতে প্রাপ্ত তুঘরা শিলালিপিটি বর্তমানে রাজশাহী বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানা যায়। ৪০০ বছর পূর্বে নির্মিত এই মসজিদটি দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থীর ভিড় দেখা যায়।
তথ্যসূত্র: https://vromonguide.com