দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৫ লাখ মানুষ। লকডাউন অবস্থায় আছে বাংলাদেশ। কিন্তু ছিন্নমূল মানুষ আজ বড়ই অসহায়।
বাংলাদেশেও আঘাত হেনেছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। দিনকে দিন আক্রান্তের সংখ্যার যেনো পাল্লা দিয়েই বাড়ছে, সেইসঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। দেশে এ পর্যন্ত ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন।
করোনা যেনো ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য দেশে অঘোষিত লকডাউন শুরু হয়েছে। রাস্তায় নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। সকলেই সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। তবে ছিন্নমূল মানুষগুলোর যেনো এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। কারণ হলো করোনা তাদের কষ্ট বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। মানুষের আনাগোনা না থাকায় তাদের উপার্জনের কোনো পথ নেই। ঘর-বাড়ি ছাড়া এসব মানুষের অতিরিক্ত খাবার মজুদতো দূরের কথা দুইবেলা দুমুঠো খাবার জোটা এখন প্রায় দুষ্কর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন রেলস্টেশন ও এর আশেপাশের এলাকায় এসব ছিন্নমূল মানুষদের আনাগোনা দেখা যায়। তাদের হাতে নেই গ্লাবস, মুখে কোনো মাস্ক নেই। গৃহহীন এসব মানুষের অনেককে স্টেশনের প্লাটফর্মেই ঘুমোতে দেখা যায়। অনেকেই আবার অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছেন। সময় যেনো তাদের কাছে বড়ই বড্ড বেমানান। পেটে খুদা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন এসব ছিন্নমূল মানুষ। এই প্রহর যেনো তাদের শেষ হবার নয়।
এভাবেই রাজধানী ও এর বাইরে থাকা নিম্নবিত্ত মানুষের সময় কাটছে অঘোষিত লাকডাউনের। না খেয়ে কোনোভাবে দিনাতিপাত করছেন এরা। করোনা ভাইরাসের কারণে কষ্টে রয়েছেন ছিন্নমূল হতদরিদ্র মানুষগুলো। কাজ-কর্ম নেই, তাই খাবারও নেই।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্যমতে, সর্বপ্রথম গত ৮ মার্চ দেশে তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। দেশে এ পর্যন্ত ৪৮ জন করোনা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা প্রতিরোধে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। তাই সহসাই এই কষ্ট থেকে রেহাই পাচ্ছেন না নিম্নবিত্ত ও ছিন্নমূল এসব মানুষগুলো। তাদের পাশে কেও নেই। হয়তো এক বেলা খাবার জোগাড় করলে আরেক বেলা না খেয়েই যাচ্ছে তাদের জীবন। এখন বিত্তবানদের উচিৎ এইসব ছিন্নমূল মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের মুখে দুবেলা দুমুঠো অন্ন তুলে দেওয়া।