দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০ খৃস্টাব্দ, ৪ বৈশাখ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২২ শাবান ১৪৪১ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে মসজিদটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি ঝিনাইদহের ঐতিহাসিক জোড় বাংলা মসজিদ। এটি একটি দৃষ্টি নন্দন মসজিদ।
ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে এক গম্বুজ বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন জোড় বাংলা মসজিদ বা জোড়া ঢিবি মসজিদটির অবস্থান। মসজিদের কারুকার্য ও স্থাপত্যশিল্প মুসলিম সভ্যতা এবং উৎকর্ষতার এক অন্যতম নিদর্শন হিসাবে গন্য করা হয়ে তাকে। ধারণা করা হয় যে, ৮০০ হিজরি সনে আলাউদ্দিন হুসাইন শাহের পুত্র শাহ সুলতান মাহমুদ জোড় বাংলা মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। বহু বছর পূর্বে এই স্থানে থাকা এক জোড়া কুঁড়ে ঘর কিংবা জোড়া দীঘির সেকারণেই মসজিদের এমন নামকরণ করা হয়।
প্রায় ১১ ফুট উচু ভিতের-উপর ছোট ছোট পাতলা ইটের গাঁথুনিতে বর্গাকৃতির এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। মসজিদের পূর্ব পাশে ৩টি খিলান সংযুক্ত প্রবেশ পথ, চারকোণায় আটকোণ বিশিষ্ট ৪টি কারুকার্যমণ্ডিত বুরুজ ও পশ্চিম দিকের দেওয়ালে অর্ধবৃত্তাকার পোড়ামাটির নকশাকৃত ৩টি মেহরাব রয়েছে। এই মসজিদের কেন্দ্রীয় মেহরাব তথা পশ্চিম দিকের দেওয়ালের ফুল-পাতার কারুকাজ বেশ আকর্ষণীয় বটে। জোড় বাংলা মসজিদের সঙ্গে ডুমুরিয়ার সারসনগর, অভয়নগরের শুভারাদা মসজিদ ও বাগেরহাটের বিবি কেরানী মসজিদের নির্মাণ শৈলীর সাদৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে।
জোড় বাংলা মসজিদের কাছে কয়েকটি কবর এবং উত্তর দিকে সুলতান মাহমুদ শাহের শাসনামলে খননকৃত অন্ধপুকুর নামক একটি দিঘীও রয়েছে। মুসল্লীদের ওজু ও পানীয় জলের প্রয়োজন মেটাতে পুকুরটি খনন করা হয়। নির্মাণের কয়েক বছর পরই জোড় বাংলা মসজিদ জঙ্গলে ঢাকা পড়ে গিয়েছিলো। ১৯৯২-৯৩ সালে বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খননের মাধ্যমে মসজিদটি আবিষ্কৃত হয়েছে। বর্তমানে মসজিদের বেশকিছু অংশ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণও করা হয়েছে। স্থানীয় মুসল্লীরা এই মসজিদে নিয়মিত নামায আদায় করে থাকেন।
তথ্যসূত্র: https://vromonguide.com
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।