দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পশ্চিম ও মধ্য ভারতের কয়েকটি রাজ্যের বাসিন্দারা বর্তমানে পঙ্গপাল আতঙ্কে দিন অতিবাহিত করছেন। কারণ পঙ্গপাল এবার ফসলের মাঠ থেকে ভারতে লোকালয়ে হানা দিচ্ছে।
রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় হানা দিয়েছে ইতিমধ্যেই। দিল্লি, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশেও হানা দিতে পারে পঙ্গপাল। ছত্তিসগড়েও জারি হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা।
২৭ মে এ খবর প্রকাশ করেছে কোলকাতাভিত্তিক পত্রিকা আনন্দবাজার পত্রিকা, এই সময়সহ ভারতের প্রধান সব সংবাদ মাধ্যম।
পরিযায়ী এই পতঙ্গবাহিনী বিঘার পর বিঘা ফসল নষ্ট করার পাশাপাশি হানা দিয়েছে রাজস্থানের লোকালয়ে। যে কারণে পঙ্গপালের মেঘে অশনি সঙ্কেত দেখছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। ফেসবুক-টুইটারে অসংখ্য ছবি-ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
সাধারণত সৌদি আরবের মরুভূমি এলাকায় বসবাস এইসব পঙ্গপালদের। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ার পর থেকেই এরা ভারতের দিকে, অর্থাৎ উত্তরের দিকে যাত্রা শুরু করেছিলো। পৌঁছে যায় লোহিত সাগর অঞ্চলে। এই অঞ্চলের বৃষ্টিপাত এদের প্রজনন এবং বসবাসের অনুকূল হয়ে ওঠে। তারপর লোহিত সাগর পেরিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করে পঙ্গপাল। পাকিস্তান থেকে রাজস্থান হয়ে সোজা ঢুকে পড়ে ভারতে। প্রায় প্রতি বছরই অল্প সংখ্যক পঙ্গপালের হানার মুখোমুখি হয় পশ্চিম ও মধ্যভারতের রাজ্যগুলো। তবে এ বছর বিপুল সংখ্যক পঙ্গপাল হানা দিয়েছে ভারতে। আবহবিদরা বলেছেন, রাজস্থানসহ ওই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে আরও আগেই। যে কারণে অনুকূল পরিবেশ পেয়ে অনেক আগেই বিপুল সংখ্যায় এ বছর হানা দিয়েছে এই পতঙ্গটি।
পঙ্গপাল হল মরুপতঙ্গের একটি দল। ছোট্ট শিংওয়ালা ঘাসফড়িং প্রজাতির এই কীট। গিরগিটির মতো রং বদলাতে না পারলেও আবহাওয়া অনুযায়ী নিজেদের চরিত্র পাল্টে ফেলার অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে এইসব পঙ্গপালদের। ঝাঁকের হিসেব ধরলে এক বর্গকিলোমিটার থেকে কয়েকশো বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে এক একটি পঙ্গপালের দল। এক একটি দলে ৪ কোটি থেকে ৮ কোটি পর্যন্ত পতঙ্গ থাকতে পারে। আবহাওয়া এবং বায়ুপ্রবাহ অনুকূল থাকলে প্রতিদিন এই উড়ন্ত বাহিনী পাড়ি দিতে পারে ১৫০ কিলোমিটার পথ পর্যন্ত।
মূলত মাঠের ফসল প্রধান খাদ্য হলেও বিভিন্ন রকম শস্যদানা ও ফলও এরা খায়। এফএও-র মতে, এই পতঙ্গগুলি প্রতিদিন নিজের ওজনের সমান খাবার খেয়ে নিতে পারে অনায়াসে। এক একটি পতঙ্গের ওজন হয় ২ গ্রামের মতো। সেই হিসাবে ধরলে এক দিনেই একটি পুরো গ্রামের খাবার খেয়ে সাবাড় করে দিতে পারে পঙ্গপালের একটি দল। তবে আশার কথা একটাই, এবার অনেক আগেই হানা দিয়েছে এই পতঙ্গবাহিনীটি। এই সময় মাঠে বিশেষ কোনো ফসল নেই। রবিশস্য ঘরে তুলে ফেলেছেন চাষিরা। খরিপ মৌসুমের ফসলের চাষ সেই ভাবে এখনও শুরুই হয়নি। মাঠে রয়েছে মূলত সব্জি ও ফল।
ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপালকে পুরোপুরি দেশছাড়া করার কোনো উপায় নেই। তবে প্রচণ্ড জোরে শব্দ করলে একটি জায়গা থেকে সামান্য সরানো যেতে পারে। চাষের জমিতে দেওয়া যেতে পারে কীটনাশক। দেশটির কেন্দ্রীয় কৃষি দফতরের পক্ষ হতে জানানো হয়, চাষিরা ম্যালাথিয়ন, ফেনভালেরেট, কুইনালফসের মতো কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন এটি নির্মূল করতে। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের চাষিরা আবার রাসায়নিক এবং পানি স্প্রে করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on মে ২৮, ২০২০ 2:35 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…