দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিবেচনায় চিহ্নিত করা লাল, হলুদ ও সবুজ জোন এলাকা পরিচালনা করার গাইডলাইন ঠিক করা হয়েছে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় একটি কমিটির অধীনে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলের নেতৃত্বে পুলিশ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় মানুষকে সম্পৃক্ত করে কমিটি গঠনের মাধ্যমে লকডাউনসহ অন্যান্য বিষয়গুলো বাস্তবায়িত হবে।
লাল জোন
লালা জোন এলাকার মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা থাকবে। এলাকার শপিং মল বন্ধ থাকবে। গণপরিবহন চলাচল করবে না, এমনকি এই এলাকায় কোনো স্টপেজও থাকবে না। তবে কেবলমাত্র রাতে মালবাহী যান চলাচল করতে পারবে।
এলাকার মসজিদে জন সাধারণের প্রবেশ নিষেধ থাকবে। মানুষের অবাধ যাতায়াত বন্ধ করার জন্য ভৌগোলিক বাস্তবতা অনুসরণ করে সড়ক এবং গলির মুখ বন্ধ করা হবে। এছাড়াও মহল্লার ভেতর আড্ডাও বন্ধ থাকবে।
এলাকায় কাঁচাবাজারের জন্য নির্ধারিত ভ্যান সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। লকডাউন এলাকায় বস্তি থাকলে দুই সপ্তাহের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার কথাও রয়েছে গাইডলাইনে।
এই এলাকার করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কঠোর ভূমিকা পালন করবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহলও অব্যাহত থাকবে এই এলাকাতে।
লাল জোনে অবস্থিত অফিস–আদালত নিয়ন্ত্রিতভাবে চলা বা বন্ধ রাখার পক্ষেই থাকবে সিটি করপোরেশন। এই বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে নির্দেশনা আসতে হবে বলে মনে করে সিটি করপোরেশন।
হলুদ জোন
হলুদ এলাকায় শপিং মল বন্ধ থাকবে; তবে সেখানকার মুদি দোকান খোলা থাকবে। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহনও চলতে পারবে। শুধুমাত্র একজন করে যাত্রী নিয়ে রিকশা ও অটোরিকশা চলতে পারবে। এই এলাকায় মালবাহী যানও চলতে পারবে।
দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে যাওয়া যাবে। মানুষের অবাধ যাতায়াত বন্ধ করার জন্য ভৌগোলিক বাস্তবতা অনুসরণ করে সড়ক এবং গলির মুখ বন্ধ রাখা হবে। এছাড়াও মহল্লার ভেতর আড্ডাও বন্ধ থাকবে।
হলুদ জোন এলাকায় কাঁচাবাজারের জন্য নির্ধারিত ভ্যান সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হবে। লকডাউন এলাকায় বস্তি থাকলে দুই সপ্তাহের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার কথাও রয়েছে গাইডলাইনে।
হলুদ জোনে অবস্থিত অফিস–আদালত নিয়ন্ত্রিতভাবে চলাচল বা বন্ধ রাখার পক্ষে সিটি করপোরেশন।
এই এলাকার করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কঠোর ভূমিকা পালন করবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহলও অব্যাহত থাকবে এই এলাকাতে।
সবুজ জোন
সবুজ এলাকায় যানবাহন চলতে পারবে এবং মসজিদে দূরত্ব বজায় রেখে যাওয়া যাবে।
চিকিৎসার প্রয়োজন হলে
লকডাউন এলাকার কোনো ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এলাকার বাইরে আসার প্রয়োজন হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের অনুমতি নিয়ে তবেই বাইরে আসা যাবে।
কেও মারা গেলে করণীয়
লকডাউন এলাকায় কেও মারা গেলে ‘আল মারকাজুল ইসলাম, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম বা এই ধরনের কাজে নিয়োজিত সংস্থার মাধ্যমে দাফন বা সৎকারের ব্যবস্থা করা হবে।
জানা যায় যে, লাল, হলুদ ও সবুজ এলাকায় ভাগ করে ঢাকায় শুরু হয়েছে এলাকাভিত্তিক ভিন্নমাত্রার লকডাউন। ইতিমধ্যেই রাজধানীর পূর্ব রাজা বাজার এলাকা রেড জোনের আওতায় লক ডাউন করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।