দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলতে গেলে জীবিত অবস্থায় তেমন কোনো স্বীকৃতিই পাননি, অথচ এখন প্রায় ৩ কোটি টাকায় তার ছবি বিক্রি হয়েছে!
তার হাতের লেখা চিঠিও কোটি কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হচ্ছে! গত ১৬ জুন প্যারিসে নিলামে তোলা হয় ১৮৮৮ সালে নেদারল্যান্ডসের বিখ্যাত ক্ষণজন্মা চিত্রকর ভিনসেন্ট ভ্যান গগের একটি চিঠি। ভ্যান গগের সেই চিঠিটি ২ লাখ ১০ হাজার ইউরো তথা ২ কোটি ৯১ হাজার ৮৫২ টাকায় বিক্রি হয়। খবর বিবিসি।
ভ্যান গগ ফাউন্ডেশন এই চিঠিটি কিনে নেয়। আমস্টারডামে ভ্যান গগ জাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হবে এই চিঠিটি। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে, এই চিঠিটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হলো এটি ভ্যান গগের একমাত্র ডকুমেন্ট যেটা এতোদিন ব্যক্তি মালিকানাধীন ছিলো।
ভ্যান গগ মিউজিয়ামের পরিচালক এমিলে গোর্দেনকার খুবই উচ্ছ্বসিত হয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ এই চিঠিটি তাদের আয়ত্বে নিতে পেরে। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে ভিনসেন্ট ভ্যান গগ ফাউন্ডেশন এটি শেষ পর্যন্ত সম্ভব করেছে, তার লেখা দুর্লভ একটি চিঠি আমাদের সংগ্রহে আমরা আনতে পেরেছি। বিশেষ করে বর্তমানের এই চ্যালেঞ্জিং সময়।’
১৮৮৮ সালে এই চিঠিটি ভ্যান গগ এবং আরেক বিখ্যাত চিত্রকর পল গাওগিন লিখেছিলেন তাদের বন্ধু ফঁরাসি চিত্রকর এমিলে বার্নার্ডকে। চিঠিতে তারা দুজন ফ্রান্সের আর্লেস শহরে একসঙ্গে বসবাস এবং কাজ করার কথাও লিখেছিলেন। সেই সময় তারা দুজন কয়েক মাস একসঙ্গেও ছিলেন। লিখেছিলেন যে, তারা কয়েকদিন ধরে পতিতালয়ে যাচ্ছেন কাজ করতে।
১৮৮৮ সালে ভ্যান গগ নিজের কান কেটে ফেলার ঠিক কিছুদিন পূর্বে এই চিঠিটি লিখেছিলেন। ওই চিঠির গায়ে লেখা রয়েছে ১-২ নভেম্বর, ১৮৮৮।
ভিনসেন্ট ভ্যান গগ চিত্রশিল্পীর ক্যারিয়ার বেছে নিয়েছিলেন যখন তার ২৮ বছর বয়স হয়েছিলো। আবার তিনি মারাও গেলেন খুব কম বয়সে। তবু ১০ বছরের মধ্যে প্রায় ৯০০ ছবি এবং ১১০০ স্কেচ ও লিথোগ্রাফ এঁকেছিলেন ভ্যান গগ। সমস্যা জর্জরিত গগ পোস্ট-ইমপ্রেশনিজমকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।
ভ্যান গগের ছবি বর্তমানে পোস্টার, নোটবুক, টি-শার্ট, মগ এমনকি দিয়াশলাই এর বক্সেও থাকছে। তার জীবন নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
ভ্যান গগ ১৮৯০ সালে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন। মূলত আত্মহত্যার পরই তিনি জগৎ জোড়া খ্যাতি পেয়েছেন। তারপর তিনি হয়ে যান কিংবদন্তি চিত্র শিল্পী।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।