দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনন্ত জলিলের নতুন একটি ছবিতে কাজ করার কথা ছিলো হিরো আলমমের। সেই ছবির জন্য ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম পারিশ্রমিক নিলেও পরে তাকে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন অনন্ত জলিল। সেই টাকা এবার অসহায়দের মাঝে দান করলেন হিরো আলম।
ছবিতে কাজ করার কথা হওয়ার পর অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা অনন্ত জলিল দিয়েছিলেন হিরো আলমকে। তিনি অংশ নিয়েছিলেন ফটোশুটেও। তবে কতিপয় কারণে হিরো আলমকে ছবিতে নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন অনন্ত। সম্প্রতি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে সেই ঘোষণা দিয়েছেন অনন্ত জলিল।
ফেসবুজে বলেন, তাকে আমার ছবিতে নিতে চাইছি না। তবে হিরো আলমকে পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া ৫০ হাজার টাকা ফেরত চান না তিনি। তাকে ওই টাকা দান করেছেন। এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম ফেসবুক লাইভে এসে ঘোষণা দেন যে, অনন্ত জলিলের দান করা টাকা তিনি নেবেন না। মানুষের মাঝে ওই টাকা বিলিয়ে দেবেন। অবশেষে তিনি তাই করলেন।
ওই টাকায় বন্যার পানি ঠেলে বন্যার্তদের মাঝে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করলেন হিরো আলম। বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দিতে পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকায় নিজে হাজির হয়ে ২৭ জুলাই ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।
এই বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বন্যায় অনেক মানুষ খেয়ে না খেয়ে রয়েছে। তাদের জন্য উল্লেখ করার মতো কিছু করবো সেই ধরনের সামর্থ্য আমার নেই। যেটুকু পেরেছি সেটুকু চেষ্টা করেছি। তবে সমাজের বিত্তবানদের উচিত বন্যার্তদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। তারা এগিয়ে এলে এই মানুষগুলোর বহু উপকার হবে।’
প্রায় ১ লাখ টাকার ত্রাণ বিতরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন হিরো আলম। যার মধ্যে অনন্ত জলিলের দেওয়া সেই ৫০ হাজার টাকাও রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। একটি লুঙ্গি, একটি শাড়ি এবং খাবারসহ মোট এক হাজার টাকা মাথাপিছু ১০০ পরিবারকে দিয়েছেন হিরো আলম।
এই বিষয়টি সামনে উঠে আসতেই মুচকি হেসে হিরো আলম বলেন, ‘অনন্ত জলিল ভাই আমাকে তার চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় ৫০ হাজার টাকা দেন। পরে বাদ দেওয়ার পর সেই টাকা আমি ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে উনি তা নেননি। বিভিন্নভাবে টাকাটা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ার পর বন্যার্তদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। আমি গরীব হতে পারি, তাই বলে পরিশ্রম না করে পাওয়া টাকা আমি ভোগ করি না। সেটাও আবার ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে যখন কেও আমাকে দান করে!’
বন্যায় অনেকেই কষ্ট পাচ্ছেন, ভাবলাম সামান্য চেষ্টা করে দেখি। যার জন্য এই পরিকল্পনাই আমি করলাম। সাধ্য হলে আও অনেক সহায়তা করবো বন্যার্তদের।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on জুলাই ২৭, ২০২০ 9:50 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন যে, ইসরাইলকে ফিলিস্তিনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মূলত এই ছবিটি একটি হাতে আঁকা কার্টুন। তবে গল্পটি বহুপুরনো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জীবন-যাপনে কিছু নিয়ম করে চলা উচিত। কারণ নিয়ম করে না…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনলাইনে যে কোনো অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রয়োজন হয় পাসওয়ার্ড।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৪৪তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা নিয়ে আলোচনায়…