দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনাদের খাবার নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই পুরোবিশ্বে আলোচনার যেনো শেষ নেই। এবার নতুন খবর হলো এক মাংশাসি পরজীবী লিভার নাকি খেয়ে ফেলেছে!
বন্যপ্রাণীদের মাংস হতে শুরু করে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ ও পোকামাকড়সহ অনেক কিছুই রয়েছে চীনাদের খাদ্য তালিকাতে। তবে করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার নেওয়ার পর হতে অবশ্য চীনে বন্য প্রাণী বিক্রি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বেজিংসহ চীনের বহু স্থানে এখন বন্য প্রাণী বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
গবেষকদের একাংশ দাবি করেন যে, চীনের উহান প্রদেশের বন্য প্রাণীর মাংস বিক্রির বাজার হতেই নাকি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে করোনা ভাইরাসের মতো প্রাণঘাতি ভাইরাস। যদিও এই দাবি নিয়ে নানা মতভেদ রয়েছে।
এসবের মধ্যেও এবার আরও এক ভয়ঙ্কর খবর হলো, এক চীনা ব্যক্তির অর্ধেক লিভার নাকি খেয়ে ফেলেছে এক মাংশাসী পরজীবী! দেশটির এক মেডিকেল রিপোর্ট বলছে যে, ওই ব্যক্তির লিভারের ভিতরে পরজীবীরা ডিম পাড়তে শুরু করেছিল। যে কারণে তার লিভারের আকার নাকি বেড়ে যাচ্ছিল অস্বাভাবিকভাবে। এমনকী তার লিভারের ভিতর বালবের আকারের টিউমারও বাড়তে শুরু করেছিল। চিকিৎসকরা তার লিভারের এমন অবস্থা দেখে চমকে ওঠেন। মাংশাসী পরজীবী তার লিভারের অর্ধেকই খেয়ে ফেলেছে!
স্ক্যান রিপোর্টে দেখা যায় যে, ওই ব্যক্তির লিভারের ভিতর পুঁজ জাতীয় কিছু একটা জমেছে। লিভারের প্রায় অর্ধেক খেয়ে ফেলেছে ওই পরজীবী। সারা লিভারে পরজীবীর ডিমে থিকথিক করছে! এমনকি বেশ কয়েকটি বড় আকারের টিউমারও রয়েছে। তারপরই ওই ব্যক্তির লিভারে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা।
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, স্থানীয় বাজার হতে তিনি একটি মাছ কিনেছিলেন। সেই মাছটি তিনি অর্ধেক সেদ্ধ অবস্থায় রান্না করে খেয়েছেন। তার দুদিন পর হতেই তার পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হয়ে যায়। এমনকি কয়েকদিনের মধ্যে তার ওজন কমতে শুরু করে দেয়। সেইসঙ্গে বমি, মাথা ব্যথার মতো লক্ষ্ণণও দেখা দেয়। তারপরই তিনি চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, ওই ব্যক্তি যে মাছ খেয়েছিলেন সেটির শরীরে ওই পরজীবীদের বাসা ছিল। সেই পরজীবীই তার শরীরে গিয়ে ডিম পাড়তে শুরু করে দেয়। তবে মাংশাসী পরজীবীদের আচরণ দেখে চিকিৎসকরা সত্যিই অবাক হয়েছেন!
তথ্যসূত্র: একুশে টেলিভিশন
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।