চে গুয়েভারার বাড়িটি বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হলো!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে কিংবদন্তী বিপ্লবী, মার্কসবাদী আর্নেস্তো চে গুয়েভারার জন্মভিটাটি এবার বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হলো।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চে গুয়েভারার ওই বাড়িটির বর্তমান মালিক ফ্রান্সিকো ফারুগিয়া এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানিয়েছেন যে, ২ হাজার ৫৮০ বর্গ ফুটের অ্যাপার্টমেন্টটি তিনি ২০০২ সালে কিনে নিয়েছিলেন। এটি সিটি সেন্টারে অবস্থিত একটি নিও-ক্লাসিক্যাল কাঠামোর বিল্ডিংয়ে নির্মিত হয়। এই অ্যাপার্টমেন্টটিতে কালচারাল সেন্টার করার পরিকল্পনা ছিল তার। তবে তিনি সেই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করতে পারেননি।

গত কয়েক বছরে বহু বিখ্যাত ব্যক্তি এই অ্যাপার্টমেন্টটি দেখতে এসেছেন। এর মধ্যে ছিলেন উরুগুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসে পেপে মুজিকা এবং কিউবার প্রয়াত কিংবদন্তি বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সন্তানরা। আরও এসেছিলেন চে’র অন্যতম বন্ধু আলবার্তো গ্রান্দোসও।

গত শতকের পঞ্চাশের দশকে তরুণ চিকিৎসক চে যখন মোটরসাইকেলে চড়ে দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে চিকিৎসা দিয়ে বেড়াতেন ঠিক তখন সঙ্গে থাকতেন গ্রান্দোস। ২০১১ সালে তিনিও না ফেরার দেশে চলে গেছেন।

চে গুয়েভারা উচ্চ মধ্যবিত্ত এক পরিবারে ১৯২৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তবে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের মানুষের দারিদ্র্য এবং ক্ষুধা তার মনে গভীরভাবে দাগ কাটে। অর্থনৈতিক বৈষম্য গুঁড়িয়ে মানুষকে মুক্তি দিতে বেছে নেন এক বিপ্লবের পথ।

১৯৫৩-৫৯ সালে কিউবায় এক নায়ক ফুলজেনসিও বাতিস্তাকে উৎখাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন চে। দক্ষিণ আমেরিকাসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই বিপ্লব ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও করেন চে গুয়েভারা। যে কারণে তিনি আজও বিশ্বের মানুষের হৃদয়ে একজন বিপ্লবি হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর

অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।