দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের বিকল্প নেই। আর এই ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা দিন দিনই যেনো এগিয়ে আসছে। তবে এই ভ্যাকসিন সকলের কাছে পাঠাতে ৮ হাজার জেট বিমান লাগবে!
ইতিমধ্যেই রাশিয়ার বানানো ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরুও হয়ে গেছে। আরও কয়েকটি দেশের ভ্যাকসিন বর্তমানে উৎপাদনের পর্যায়ে রয়েছে।
শুধু ট্রায়ালের পুরো প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষা মাত্র। এই আয়োজনের মধ্যেই বিশ্ববাসীর কাছে করোনা ভ্যাকসিন কীভাবে পৌঁছানো যায় তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এয়ারলাইন ইন্ডাস্ট্রি জানিয়েছে, এটি হবে এ পর্যন্ত বিশ্বে পরিবহন খাতে সবচেয়ে বড় একটি চ্যালেঞ্জ।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএআইএ) বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এই তথ্য দিয়েছে।
তারা বলছেন যে, করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য বোয়িং ৭৪৭ এর মতো অন্তত ৮ হাজার জেট বিমান প্রয়োজন হবে। কোভিড রোগীর জন্য এক ডোজ ভ্যাকসিন হিসাব করা হয়েছে এই পরিবহন খাতে।
আইএটিএ প্রধান নির্বাহী আলেকজান্দ্রি দে জুনিয়াক বলেন যে, ‘নিরাপদে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ হবে কার্গো বিমান পরিবহন ইন্ডাস্ট্রির জন্য এই শতাব্দীর বড় একটি মিশন। তবে এর জন্য পূর্ব পরিকল্পনাও প্রয়োজন ও এটি নিয়ে ভাবার এখনই শ্রেষ্ঠ সময়।’
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।