দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেকারত্ব আমাদের দেশে একটি বড় ধরনের সমস্যা। তবে করোনাকালীন সময় এই বেকারত্ব আরও বেড়েছে। আজ রয়েছে করোনাকালে চাকরি হারানো ব্যক্তিদের প্রতি কিছু পরামর্শ।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাকালীন সময় বাংলাদেশের প্রতি চার জন চাকুরিজীবীর একজনই চাকরি হারিয়েছেন। ছাঁটাই কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে। যদিও বিভিন্ন কোম্পানি এবং সরকারি চাকুরিতে নিয়োগও হচ্ছে। করোনাকালীন এই সময় নতুন চাকরি পেতে বেশ কিছু পরামর্শ মেনে চলতে হবে। আজ সেই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হবে।
ভালো বায়ো ডাটা একজন চাকরিপ্রত্যাশীকে অন্য সবার চেয়েও এক ধাপ এগিয়ে রাখে। বায়োডাটার সব তথ্যের পাশাপাশি আপনার অতিরিক্ত যোগ্যতা-অভিজ্ঞতার কথাও স্পষ্ট করে লিখতে হবে। চাইলে বিস্তারিতভাবেও আপনি লিখতে পারেন। সিভি তৈরি করে অভিজ্ঞ কাওকে দেখিয়ে নিতে পারেন। এতে কোনো ভুলভ্রান্তি থাকলে ধরা পড়বে। প্রতিবার আবেদনের জন্য কোম্পানি অনুযায়ী পৃথক পৃথক সিভি তৈরি করুন। কাজটি যদিও কঠিন বিষয়, তবে চাকরি পাওয়ার জন্য এতোটুকু কষ্ট তো আপনাকে স্বীকার করতেই হবে।
চাকরি খোঁজার মধ্যেও স্মার্টনেস রয়েছে। চাকরির পত্রিকাগুলোতে তো নজর রাখবেনই, সেই সঙ্গে অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চোখ রাখতে হবে আপনাকে। আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট চাকরি খুঁজতে চান তাহলে কোথায় এই পেশার লোক নিয়োগ দেবে, বিস্তারিত খোঁজখবর করতে থাকুন। অনলাইন জবস পোর্টালগুলোতে প্রতিদিন ভিজিট করুন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর জব গ্রুপগুলোতেও ঢু মারতে থাকুন।
অন্য যে কোনো সময় চাকরি যদি হয় সোনার হরিণ- তাহলে করোনাকালীন এই সময় চাকরি হয়ে দাড়িয়েছে হীরের হরিণ। হীরের পেছনে সন্ধানীরা যেমন পাগলের মতো ছুটে বেড়ান, ঠিক তেমনি একটি চাকরির পেছনেও মানুষ আপ্রাণ ছুটে বেড়াচ্ছে। এতো মানুষকে ডিঙিয়ে আপনাকে ওই চাকরিটি পেতে হবে। এক্ষেত্রে সব ধরনের যোগ্যতার পাশাপাশি নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশলী পদক্ষেপ আপনাকে গ্রহণ করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনাকালীন এই সময় চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পরিচয় অনেক বেশি উপকার দেয়। তাই আপনার সঙ্গে বা আপনার পরিবার অথবা বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচিত বলয়ের মধ্যে চাকরি খুঁজতে হবে আপনাকে।
যে পদ ও প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আপনি আগ্রহী, সে পদ ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে হবে। অন্য সবাই যে বিষয়গুলো তেমন একটা গুরুত্বই দেয় না- সেই বিষয়গুলো আপনি খুঁটিনাটিসহ জেনে রাখুন। ইন্টারভিউ বোর্ডে এরকম বিষয়গুলোই প্রার্থীকে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।
আপনাকে সব সময় মনে রাখতে হবে যে ধৈর্য একটি বড় জিনিস। কারণ হলো সব সময় আমাদের পক্ষে সব কিছু হবে তা কিন্তু নয়। তাই চাকরির জন্য অন্য সময়ের চেয়ে এই সময় আরও অনেক বেশি ছোটাছুটি ও খাটাখাটি করতে হতে পারে আপনাকে। তাই কখনও ধৈর্য্য হারাবেন না। আশা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে লেগে থাকলে এক সময় আপনি অবশ্যই সফলতার স্বাদ পাবেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০ 10:38 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকের বেশ বদভ্যাস রয়েছে। রাতের খাবার শেষ করা মাত্রই তারা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের বৃহত্তম মেরিটাইম এবং অফশোর প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেরিন অ্যান্ড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান ডিজিটাল যুগে সংবাদ মাধ্যমের গুরুত্ব ও প্রসার আগের যেকোনো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের মুম্বাইয়ে ‘বরবাদ’ সিনেমার শুটিং এর সময় আহত হয়েছেন ঢাকাই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইরিশ আইনপ্রণেতারা দেশটির পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। যেখানে ইহুদিবাদী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রান্না করতে গিয়ে গরম তেলে মোবাইল ফোন পড়তেই ঘটে গেল…