দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ (বুধবার) বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামানের আদালত এই রায় ঘোষণা করেছেন।
রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজী, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, রেজওয়ান আলী খান হৃদয়, মোঃ হাসান ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
অপরদিকে মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), মো. সাগর (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০) এবং কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।
আজ সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে কারাগার হতে আসামিদের আদালতে নিয়ে আসা হয়। দুপুর ১টা ২০ মিনিটে বরগুনা জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা শুরু করেন। এই সময় জামিনে থাকা আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি এবং কারাগারে থাকা ৮ আসামি সবাই উপস্থিত ছিলেন। ১ বছর ৩ মাস ৩ দিনের মধ্যে এই হত্যা মামলার রায় এদিন ধার্য করেছিলো আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে কিশোর গ্যাং বন্ড বাহিনী নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে রিফাত শরীফকে। সেই হত্যার একটি ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপি ব্যাপকভাবে আলোচনায় উঠে আসে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছিলো আদালত।
গত বছর ২৬ জুন সকালটিও অন্যান্য দিনের সকালের মতোই শুরু হয়েছিল। তবে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে একটি হত্যাকান্ড সারাদেশেকে নাড়িয়ে দেয়। কিশোর গ্যাং বন্ড বাহিনী প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে গুরুতরভাবে জখম করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন বিকেলেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন রিফাত শরীফ। ঘটনার পরদিন ২৭ জুন রিফাতের বাবা মো. আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।
রিফাতের ওপর হামলার ৬ দিন পর ২ জুলাই ভোর রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় এই মামলার আলোচিত প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।