দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ মানুষ এসি ব্যবহার করেন। তবে অনেকেই এসি কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন কারণ তার রুমে কতো টনের এসি লাগবে তা তিনি জানেন না। আজ জেনে নিন আপনার রুমে কতো টনের এসি প্রয়োজন।
কেবলমাত্র ব্র্যান্ডমুগ্ধতা থেকে ঝপ করেই এসি কিনে ফেলবেন না। ফ্রিজ-টিভি-ওয়াশিং মেশিনের মতো এসি কিনতে হবে বুঝেশুনেই। তবেই বাঁচবে আপনার বিদ্যুতের বিল। তাছাড়া ঠিকঠাক ঠাণ্ডা হবে ঘর। দেখে নিন এয়ারকন্ডিশন কেনার কয়েকটি টিপ্স:
# আপনাকে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে বিদ্যুৎ কতোটা খরচ হবে সেদিকে। তার উপর নির্ভর করে বাজারের সমস্ত এসিকে ‘স্টার’ রেটিং দেওয়া হয়ে থাকে। এই রেটিং দিয়ে থাকে ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি। ১ হতে ৫ পর্যন্ত হয়ে থাকে এই রেটিং। ফাইভ স্টার এসির অর্থই হলো বিদ্যুৎ পুড়বে সবচেয়ে কম। একই টনেজের ও একই ব্র্যান্ডের ফাইভ স্টার এসির দাম অন্যান্য মডেলের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হয়। কেনার সময় দাম বেশি পড়লেও ভবিষ্যতে প্রতি মাসের বিদ্যুতের কথা ভেবে যতো বেশি স্টার-সম্পন্ন এসি আপনি কিনবেন, ততোই আপনার পকেটের জন্য ভালো হবে।
# যতো বড় এসি, ততোই ঠাণ্ডা হবে ঘর, তবে হিসেবটা এতো সোজা নয়। যদি মনে করে থাকেন যে একটি ছোট ঘরকে চিল্ড রাখতে আপনাকে ইয়া বড় এসি কিনতে হবে তাহলে ভুল ভাবছেন। ঘরের মাপ অনুযায়ী কতো টনের এসি প্রয়োজন তার একটি তালিকা আজ দেখে নিন।
ঘরের মাপ (স্কোয়্যার ফিট অনুসারে) কত টনের এসি
১২০ পর্যন্ত ০.৭৫ টন
১২১ থেকে ১৫০ ১ টন
১৫১ থেকে ২৫০ ১.৫ টন
২৫১ থেকে ৪০০ ২ টন ও তার বেশি
ঘর এর থেকেও বড় হলে কোনও বড় ব্র্যান্ডের শোরুমে গিয়ে আপনাকে কথা বলতে হবে। তখন তারাই বলে দেবেন কতো টনের ক’টি এসি লাগবে আপনার ঘরে।
# এখন প্রায় সব বাড়িতেই স্প্লিট এসি লাগানোর চল বিদ্যমান। এই এসিগুলি উইনডো এসির চেয়েও দেখতে অনেকটাই স্লিক। তাছাড়াও একটি জানালা জুড়ে বসে থাকে না। তবে যারা ঘন ঘন বাড়ি পাল্টান তাদের পক্ষে উইনডো এসিই সবথেকে ভালো, কারণ হলো স্প্লিট এসির ইনস্টলেশন উইনডো এসির থেকে সহজ হলেও এর রি-ইনস্টলেশন চার্জ অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি। তা বাদে এই দুই ধরনের এসি-তে কমবেশি একই পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হবে। তবে ঘর বড় হলে উইনডো এসি না কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
# এসি কেনার সময় ভালোভাবে খেয়াল করবেন যাতে করে এসিতে কোনও আওয়াজ হচ্ছে কি না। স্প্লিট এসিগুলিতে আওয়াজ অনেক কম হয়ে থাকে। শান্তিতে ঘুমোনো কিংবা কাজ করার পক্ষেও ভালো।
# বাজেট খুব একটা সমস্যা না হলে রিভার্স সাইক্ল এসি কিনুন যাতে করে গরমকালে ঠাণ্ডা হাওয়া ও শীতকালে গরম হাওয়ার সুবিধা পেতে পারেন। এগুলির দাম সাধারণ এসিগুলির তুলনায় একটু বেশি।
# বাড়ির সব ঘরে এসি লাগানো বেশ খরচসাপেক্ষ ব্যাপার। সেক্ষেত্রে মাস্টার বেডরুমের জন্য একটি উইনডো কিংবা স্প্লিট এসি কিনে সঙ্গে একটি পোর্টেবল এসি কিনে নিন যাতে করে এক ঘর থেকে আর এক ঘরে খুব সহজেই তুলে নিয়ে যাওয়া যায়। পোর্টেবল এসিগুলির দাম স্বাভাবিকভাবেই একটু কম।
# ঘরের ভিতরের হাওয়া কেমন তার উপর এসির আয়ু অনেকটা নির্ভর করে। দূষিত বাতাস ঘরে জমে থাকলে ঘর ঠিকঠাক ঠাণ্ডা হয় না অনেক সময়। ভালো ব্র্যান্ডের এসিগুলিতে ভালো এয়ার ফিল্টারও থাকে। এসি কেনার সময় এই বিষয়টি আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।
তাই হঠাৎ করেই এসি কিনে না ফেলে সবকিছু বিবেচনায় এনে বুঝে শুনে তারপরই এটি কিনুন তাহলে আপনার ঠকার সম্ভাবনা থাকবে না।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।