দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর বাগান অবস্থিত সউদী আরবে। সবুজ গাছে ঘেরা সুবিশাল এক বাগান। উপর থেকে দেখলে মনে হবে যেনো বালুর ওপর কেও বোধহয় সবুজ গালিচা বিছিয়ে রেখেছেন। এই বাগানটিতে প্রায় ২ লাখ খেজুর গাছ রয়েছে।
দেশটির আরব নিউজ ডট কম জানিয়েছে, এই সুবিশাল বাগানটির অবস্থান মধ্য সউদী আরবের আল-কাসীম প্রদেশের রাজধানী বুরাইদা শহরের খুব নিকটে অবস্থিত। এই বাগানের আয়তন প্রায় ৫ হাজার ৪৬৬ হেক্টর। এই বাগানটি প্রায় ৪৫ প্রজাতির খেজুর উৎপাদিত হয়ে থাকে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই খেজুর বাগানের মালিকের নাম হলো শেখ সালেহ বিন আবদুল আযীয রাজেহী। তার নামানুসারেই বাগানের নাম করণ করা হয়েছে ‘রাজেহী বাগান’।
অবশ্য শুরুতে এই বাগানটি কেবলমাত্র খেজুরের বাগান ছিল না। ১৯৯০ সালের দিকে এখানে খেজুরের পাশাপাশি গম এবং তরমুজও চাষ করা হতো এই বাগানটিতে। ১৯৯৩ সালে এসে বাগান মালিক সালেহ বিন আবদুল আযীয রাজেহীর নির্দেশে এখান থেকে গম এবং তরমুজ সরিয়ে ফেলা হয়। তারপর সেখানে বিভিন্ন প্রকারের খেজুর গাছের আবাদ শুরু করা হয়।
রমজানে ওমরাহ পালনের উদ্দেশে যারা কাবা এবং মদিনায় আসেন তারা প্রায় সবাই এই বাগানের খেজুর উপভোগও করেছেন। মূলত রমজানে মক্কা-মদীনায় সর্বাধিক খেজুর সরবরাহ হয়ে থাকে এই খেজুর বাগান থেকে।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই খেজুর বাগানের কোনো খেজুরই বিক্রয় করা হয় না। এই বাগানের পুরো উৎপাদনই আল্লাহর রাস্তায় ওয়াকফ করে দেওয়া হয়েছে। সে কারণেই এই বাগানকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘ওয়াকফ সম্পত্তি’ হিসাবেও বিবেচনা করা হয়ে থাকে। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডেও এই বাগানটি যুক্ত হয়েছে।
আল আরাবিয়ার এক খবরে বলা হয়, এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, খেজুর উৎপাদনে সউদী আরব বিশ্বে প্রথম। দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে আড়াই কোটিরও বেশি খেজুর গাছ সরকারি এবং বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন অবস্থায় রয়েছে। এসব গাছে প্রায় ৩৬০ প্রকারের খেজুর উৎপাদিত হয়। যারমধ্যে দেশটির মদীনা, মাসকানি, মাবরুম, বারহি, শাশি, সাকি, মুনিফি, সুকারি এবং আযওয়া নামের খেজুর বেশ প্রসিদ্ধ খেজুর।
উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে আল আহসা জাতিসংঘের বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের তালিকায় স্থান করে নেয়। ২০১৯ সালে এটি আরব বিশ্বের পর্যটন রাজধানী হিসেবেও স্বীকৃতি পায়। এছাড়াও ২০১৫ সালে বাগানটিকে লোককলা এবং কারুশিল্পে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on অক্টোবর ১১, ২০২০ 4:48 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাঁটা কিংবা দৌড়ানোর জুতো কেমন হওয়া উচিত? সেটি হয়তো অনেকের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম। ফটো ও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমেরিকান পপশিল্পী গায়িকা টেইলর সুইফটের খ্যাতি রয়েছে সর্বত্র। বহু আগে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাসের ভিতর থাকা মহিলা কন্ডাক্টরের সঙ্গে কথা বলছেন ঝুলে থাকা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৭ কার্তিক ১৪৩১…