দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের ১৮টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এই অবরোধে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ ইরানের অর্থনীতি।
গত ৮ অক্টোবর মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন ইরানের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। ইউরোপিয়ান এবং অন্যদের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নতুন অবরোধে মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে দেশটির অর্থনীতি। এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অবরোধে ইরানের অর্থনীতি চলছিল প্রায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে, তার ওপর নতুন করে ওই অবরোধ কার্যত ইরানের সমস্ত অর্থনৈতিক খাতের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে ইরানের ১৮টি ব্যাংককে কালো তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। যে কারণে ইরানকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় দেশগুলো এবং অন্যদের সঙ্গে উত্তেজনাও বৃদ্ধি পাবে।
ইতিপূর্বে ইরানের এই ১৮টি ব্যাংক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের আওতায় ছিল না। নতুন করে তাকে কালোতালিকাভুক্ত করার কারণে এখন তাদের সঙ্গে বাইরের কেও কাজ করতে পারবেন না। মূলত আন্তর্জাতিক আর্থিক খাত হতে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে ইরানকে।
অবরোধ ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মনুচিন বলেছেন, এই অবরোধ ইরানের আর্থিক খাত এবং ১৮টি বড় ব্যাংকের বিরুদ্ধে।
ইরান যতোক্ষণ পর্যন্ত তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সমর্থন দেওয়া ও নিজের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ না করবে, ততোক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে আমাদের এমন অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেছেন, ইরানের ক্ষতিকর কর্মকাণ্ডে সরকারকে অর্থায়নে বড় রকম একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে এই খাত।
খবরে আরও বলা হয়, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ২০১৫ সালে জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব একশন নামে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তার অধীনে ইরান কিছুটা সুবিধা কিংবা ছাড়ও পেয়েছিল। তবে সেই সুবিধাকে বন্ধ করে দিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক বিভিন্ন রকম অবরোধ আরোপ করতে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই নতুন অবরোধ নিয়ে আলোচনার কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রস্তাবের পক্ষে ছিল না চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ। তা সত্ত্বেও ইরানের বিরুদ্ধে এমন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।