দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নেদারল্যান্ডে ঘটেছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। স্টেশন ভেঙে ছিটকে ট্রেন বাইরে বেরিয়ে এলেও মারা যায়নি কেও! নাটকীয়ভাবে এড়ানো গেছে বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি। ঠিক কী ঘটেছে?
অনেকটা সিনেমার মতোই ঘটেছে ওই দুর্ঘটনাটি। শেষ স্টেশনে না থেমে প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কা মেরে স্টেশনের প্রাচীর ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসে দেশটির একটি মেট্রো রেল।
তবে কপাল বোধ হয় খুবই ভালো। প্রাচীর ভেঙে বাইরে বেরিয়ে এসেও শূন্যে বাসছিল ট্রেনটি, কারণ ওটি ছিলো একটি তিমির লেজ! ‘তিমির লেজ’ -এর জেরেই নিচে পড়া থেকে রক্ষা পেয়েছে একটা পুরো ট্রেন। মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, মেট্রোটি হঠাৎ করেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। শেষে স্টেশনে এসেও ট্রেনটি না থেমে প্রচণ্ড গতিতে প্রাচীর ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসে। এতে অনেক ক্ষতিও হতে পারতো। তবে পুরোটাই বাঁচিয়ে দিয়েছে একটি তিমির লেজের মূর্তিকে উসিলা করে! আশ্চর্যজনকভাবে ট্রেনের সামনের দিকের বগিটি এই লেজেই আটকে যায়, যে কারণে নিচে পড়া থেকে রক্ষা পায় ওই মেট্রো রেলটি।
জানা যায়, ২০ বছর আগে মেট্রোর কাছে একটি পার্কে ওই তিমি মাছের শিল্প স্থাপত্যটি বানানো হয়েছিলো। দুটি বড় তিমি মাছের দৈত্যাকার লেজই এই ভাস্কর্যের বৈশিষ্ট্য। এর একটি লেজই ওই মেট্রোটিকে বাঁচাতে সাহায্য করেছে।
ওই মেট্রো ট্রেনের চালকও প্রাণে বেঁচে গেছেন। তবে তিনিও রীতিমতো শকড। উল্লেখ্য যে, ট্রেনটিতে কোনও যাত্রী ছিলেন না। কেবল ড্রাইভার একাই ছিলেন।
এই ঘটনার পরে আর্কিটেকচারস, ইঞ্জিনিয়াররা ও কিছু বিশেষজ্ঞরাও ঘটনাস্থলে হাজির হন। জরুরি পরিষেবার ভিত্তিতে ট্রেনটিকে স্টেশনে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে যে, ওই ঘটনায় কিছুটা ক্ষয়-ক্ষতি হলেও বড় মাপের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। প্রাণহানির কোনও খবরই পাওয়া যায়নি। মেট্রোটি কীভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানানো হয়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।