দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ২৩১ বছরের ইতিহাসে দেখা যায় ৪৫ জন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। মার্কিন ইতিহাসে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি খুব কম ব্যক্তিই।
১৭৮৯ সালে প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নারী-পুরুষ যে কেও প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে পারবেন— যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে এমনটি বলা থাকলেও প্রায় ২৫০ বছরের ইতিহাসে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনও কোনো নারী প্রেসিডেন্ট পায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে এক জন চার বছর মেয়াদে দুই বারের বেশি প্রেসিডেন্ট থাকতেও পারেন না।
ডোনাল্ড ট্রাম্প হারলে একুশ শতকে এইবারই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন না। দেখে নেওয়া যাক এর ইতিহাস।
পর পর দুইবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে পারেন একজন ব্যক্তি। ২০১৬ সালে ট্রাম্প জেতার আগে প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা। ওবামা প্রথম জিতেছিলেন ২০০৮ সালে এবং দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসেন ২০১২ সালে। প্রায় সব প্রেসিডেন্টই দ্বিতীয়বার নির্বাচনে জয় লাভ করেন। তবে অ্যামেরিকার ইতিহাসে এমনও কিছু প্রেসিডেন্ট রয়েছেন, যারা দ্বিতীয়বারের নির্বাচনে হেরেও গিয়েছেন।
২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের জনমত সমীক্ষা বলছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প হেরেও যেতে পারেন। ভোটের ফলাফল এখন পর্যন্ত যা মিলেছে, তাতে লড়াই চলছে হাড্ডাহাড্ডি। তবে যদি জনমত সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি সত্যিই হেরে যান, তা হলে রেকর্ড সৃষ্টি হবে। একুশ শতকে এই প্রথম কোনো ব্যক্তি পর পর দুইবার প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।
১৯৯২ সালে শেষবার দ্বিতীয় নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন বুশ সিনিয়র। পরবর্তীকালে তাঁর ছেলে জর্জ ডাব্লিউ বুশ জুনিয়ার দুইবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হন। সিনিয়র বুশ ক্ষমতায় এসে গাল্ফ ওয়ার কিংবা উপসাগরীয় যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। উপসাগরীয় যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন জনতার মনে দেশপ্রেম জাগলেও অর্থনৈতিকভাবে সেই সময় অ্যামেরিকা কঠিন সমস্যার সম্মুখিন হয়েছিলেন। মনে করা হয় যে, সেই কারণেই দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরতে পারেননি বুশ সিনিয়র।
১৯১৩ সালে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন উইলিয়াম টাফট। উড্রো উইলসনের সামনে মূলত উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। বলা হয়ে থাকে, প্রথমবারেও রুসভেল্টের সাহায্যেই নির্বাচনে জয় লাভ করেছিলেন তিনি। তবে দ্বিতীয় দফায় রুসভেল্টের সঙ্গে তীব্র মতপার্থক্য ছিলো তার। রুসভেল্টের অঙ্কেই দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনে উড্রো উইলসনের কাছে হেরে যান তিনি।
১৯২৯ সালে ৩১ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হন হার্বার্ট হুভার। তিনি ক্ষমতায় আসার পরেই অ্যামেরিকায় সব চেয়ে বড় স্টক মার্কেট ক্র্যাশ হয়ে যায়। সেই ঝড় আর সামলাতে পারেননি প্রেসিডেন্ট। তাই দ্বিতীয়বার হেরে যান রুসভেল্টের কাছে।
৩৮ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট গেরাল্ড ফোর্ড ও ৩৯তম প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারও দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের সিংহাসন দখল করতে পারেননি হেরে যান।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কী এবার পারবেন? সমীক্ষার ফলাফল বলছে হয়তো পারবেন না। তবে নির্বাচনের ফলাফল এখনও স্পষ্ট নয়। দুই পক্ষের মধ্যেই তীব্র লড়াই হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প হেরে গেলে ১৯৯২ সালের পর আবার কোনো প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয়বার সিংহাসন দখলে পরাজিত হবেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।