দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানব মস্তিষ্ককে মোটামুটি দুটি অঞ্চলে ভাগ করা যেতে পারে, ডান দিকের অংশ ও বাঁদিকের অংশ। এক্ষেত্রে জেনে রাখা দরকার যে আমাদের সমগ্র মস্তিষ্ক কিন্তু একটাই কাজ করে না।
আসলে এক একটা অংশের উপর একটা কাজের ভার দেওয়া রয়েছে। তাই তো আপনি ব্রেনের কোন অংশটা ব্যবহার করছেন তার উপরই আপনার চারিত্রিক গুণাগুণ অনেকাংশেই নির্ভর করে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে আমরা কী ব্রেনের দুটি অংশই একসঙ্গে কাজে লাগাতে পারি না?
একাধিক গবেষণায় দেখা যায় যে, সাধারণত কেওই তার ব্রেনের দুটি অংশকে একইসঙ্গে কাজে লাগাতে পারেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মস্তিষ্কের কোনও একটা নিদির্ষ্ট অংশকে বেশি ব্যবহার করে থাকেন।
একাধিক গবেষণায় একথাও প্রমাণিত হয়েছে যে, আমাদের আচার-আচরণ, স্বাভাবসহ সার্বিক চরিত্র কেমন হবে, তা নির্ভর করে ব্রেনের কোন অংশটি বেশি অ্যাকটিভ ঠিক তার উপর। সে কারণেই মানুষ ভেদে তাদের পছন্দ-অপছন্দ, ভালোলাগা-মন্দ লাগা সব কিছুই বদলে যায়। এখন প্রশ্ন হলো, তাহলে আপনি বুঝবেন কীভাবে যে ব্রেনের কোন অংশটা আপনি বেশি ব্যবহার করছেন? এই উত্তরেরই সন্ধান পাওয়া গেছে বাকি প্রবন্ধে।
ব্রেনের বাঁদিকের অংশ
যারা ব্রেনের এই অংশটা বেশি ব্যবহার করে থাকেন তারা খুব ভালো বক্তা হন। যুক্তি দিয়ে কথা বলতে এরা খুবই পছন্দ করেন। শুধু তাই নয়, যে কোনও জটিল পরিস্থিতিকে টুকরো টুকরো করে ভেঙে নিয়ে কীভাবে সেই পরিস্থিতি হতে বেরুনো যায় তা নিয়েই ভাবতে এরা বেশ পটুও হন।
এক কথায় এদের বিশ্লেষণ ক্ষমতা খুবই মজবুত হয়ে থাকে। তবে এমন মানুষরা খুব সহজেই নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে চান না। নিজেদের ইমোশানকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মারাত্মক ক্ষমতাও রয়েছে এদের। উল্লেখ্য যে, মস্তিষ্কের বাঁদিকের অংশ যারা বেশি ব্যবহার করেন তারা যেমন ভালো কথা বলেন, ঠিক তেমনই টানটান লিখতেও পারেন।
বাঁদিকের অংশ যারা বেশি ব্যবহার করেন তাদের যে চারিত্রিক গুণগুলি দেখা যায়:
# এরা খুব যুক্তিবাদি হয়ে থাকেন।
# বাস্তব বোধও প্রবল থাকে।
# এরা যে কোনও কিছুর গভীরে গিয়ে ভাবেন।
# প্ল্যান করে জীবন অতিবাহিত করতে ভালোবাসেন এরা।
# নিজের ইমোশানের উপর এদের দারুন কন্ট্রোল থাকে।
মস্তিষ্কের ডান দিক
ব্রেনের এই অংশটা মূলত স্বপ্ন দেখাতেই বেশি ভালোবাসে। তাই যারা এই অংশের ব্যবহার বেশি করেন, তারা একেবারেই বাস্তববাদি হন না। বরং সর্বক্ষণ স্বপ্নের দুনিয়ায় থাকতেই এরা বেশি পছন্দ করেন।
নাম, নাম্বার মনে রাখতে এরা একেবারেই পটু হন না। তবে স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন বলে ক্রিয়েটিভ ফিল্ডে এমন মানুষরা খুব নাম করে থাকেন। বিশেষত লেখক এবং অঙ্কন শিল্প হিসেবে এরা খুবই সুনাম অর্জন করেন। যদি চরিত্রের দিক থেকে বলেন, তাহলে এমন মানুষরা নিজের মনের কথা কখনও চেপে রাখতে পারেন না।
যদি দু:খ লাগে তা যেমন খোলা মনে সবাইকে জিনিয়ে দিয়ে থাকেন, তেমনি খুশি হলে আশেপাশের মানুষদের মধ্যেও সেই খুশিরভাব ছড়িয়ে দিতে পিছপা হন না। এক কথায় এরা খুবই ইমোশনাল হয়ে থাকেন। তবে বক্তা হিসেবে একবারেই ভালো হন না এমন মানুষরা।
ডান দিকের অংশ যারা বেশি ব্যবহার করেন তাদের চারিত্রিক গুণগুলি যেমন:
# খুব খোলা মনের হন এরা।
# এরা জীবনের যে কেনও পরিবর্তন খুব সহজেই মেনে নিতে পারেন।
# এরা হাসি-খুশি থাকতে পছন্দ করেন।
# এরা ইমোশানাল হন।
# এরা মনের কথা মেনে জীবন চালাতে বেশি পছন্দ করেন। তাই এরা দু:খও বেশি পান।
# খুব সহজে মন খারাপ হয়ে যায় এদের।
# সবদিক ভেবে নিয়ে কাজ করতে চান এরা। তবে এরা সব সময় এমনটা করে উঠতে পারেন না।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on নভেম্বর ১৮, ২০২০ 12:20 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…