দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্যাস্ট্রিক তথা এসিডিটির রোগে ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া প্রায় দুষ্কর। অন্য কোনো রোগের ওষুধ থাকুক বা না থাকুক, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ কিন্তু থাকবেই। কিন্তু সেই ওষুধটি আপনাকে খেতে হবে নিয়ম মেনে।
গ্যাস্টিকে ভোগা রোগীরা হরহামেশাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ এড়িয়েই নিজেরা ইচ্ছা মতো বেছে নেন নানা পদের ওষুধ। যে কারণে থেকে যাচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। আবার সাম্প্রতিক হিসাব বলছে, গত এক বছরে দেশে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বিক্রি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার মতো। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে আমরা দিনে দিনে কী পরিমাণ এই জাতীয় ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি।
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘গ্যাস্ট্রিক ও এই ধরনের সমস্যার জন্য অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে যা রোগের ধরন অনুযায়ী রোগীকে প্রেসক্রাইব করা হয়ে থাকে। এটির প্রকারভেদ করতে গেলে ওষুধের মধ্যে রয়েছে এইচ টু ব্লকার যেমন রেনিটিডিন, ফ্যামোটিডিন, প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (পিপিআই) যেমন ওমিপ্রাজল, প্যানটোপ্রাজল,
ল্যানসোপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজল, রেবিপ্রাজল, সার্জেল ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে আমাদের দেশে বেশি সেবন করা হয় ওমিপ্রাজল, সার্জেল ও ইসোমিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধগুলো। রোগীর বয়স, রোগের ধরনের ওপর ভিত্তি করেই ওষুধগুলো সাজেশন করা হয়ে থাকে। এমনি এমনি এমনি কাওকেই কোনও ওষুধ দেওয়া হয় না।’
তাহলে কার জন্য কোন ওষুধ প্রযোজ্য? একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘ইসোমিপ্রাজল বুক জ্বালাপোড়ায় অধিক কার্যকর একটি ওষুধ, রেবিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধ খাবারের আগে বা পরে খাওয়া যায়, বিশেষ করে তরুণদের ক্ষেত্রে এটি সাজেশন করা হয়ে তাকে। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবন করা দরকার এটি ঠিক, কিন্তু তাই বলে আমরা ফার্মেসি থেকে যেভাবে ওষুধ কিনি তা কোনওভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমাদের দেশে ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই ওষুদের দোকানগুলো ওষুধ বিক্রি করে, যা বিশ্বের অন্য কোনো দেশে কখনও হয় না। খাদ্যনালীর সমস্যা, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা এসব থেকেও অনেক সময় বুক ব্যাথা কিংবা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয় যে এটি আসলে কীসের জন্য সমস্যা হচ্ছে, তাই আন্দাজে ওষুধ খেলে হবে না।’
এখন প্রশ্ন হলো ব্যথার ওষুধের সঙ্গে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ কী সেবন করতেই হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পিপিয়াই গ্রুপের ওষুধ (ওমিপ্রাজল, রেবিপ্রাজল) খাবারের পূর্বে সেবন করে ভরা পেটে ব্যাথার ওষুধ সেবন করাই ভালো। না হলে গ্যাস্ট্রিক আলসার কিংবা গ্যাস্ট্রিক পারফোরেশনের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন যে কেও। তাই গ্যাস্টিকের ওষুধ যথেচ্ছাভাবে ব্যবহার থেকে আমাদের অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। যদি গ্যাস্টিকের কোনো সমস্যা হয়েই থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ সেবন করতে হবে।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on মে ৩০, ২০২৩ 2:43 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাঁটা কিংবা দৌড়ানোর জুতো কেমন হওয়া উচিত? সেটি হয়তো অনেকের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম। ফটো ও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমেরিকান পপশিল্পী গায়িকা টেইলর সুইফটের খ্যাতি রয়েছে সর্বত্র। বহু আগে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাসের ভিতর থাকা মহিলা কন্ডাক্টরের সঙ্গে কথা বলছেন ঝুলে থাকা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৭ কার্তিক ১৪৩১…