দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সর্বশেষ এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৬২৩ সালে। তখনও বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি জীবিত ছিলেন। টেলিস্কোপ আবিষ্কারের ১৩ বছর পর সেই ঘটনাটি ঘটেছিল। ৪০০ বছর পর বৃহস্পতি ও শনি গ্রহদুটি এতো কাছাকাছি!
সেই হিসেবে ৩৯৭ বছর পর আবার এই বিরল ঘটনার সাক্ষী হলো পৃথিবী। গত সোমবার বৃহস্পতি ও শনি গৃহ একে অন্যের থেকে এক ডিগ্রির ১০ ভাগের এক ভাগ কাছাকাছি ছিলো। এর ঠিক ৬০ বছর পর, অর্থাৎ ২০৮০ সালে আবার এতো কাছে আসবে এই দুটি গ্রহ।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, ৮০০ বছর পূর্বে এই দুই গ্রহ এক সরলরেখায় এলেও শেষবার এতো কাছাকাছি এসেছিল ১৬২৩ সালে।
এই বিষয়ে ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ গবেষক অধ্যাপক ডেভিড ওয়েইনট্রাব জানিয়েছেন যে, এমন ঘটনা একজন মানুষ তার জীবনকালে কেবলমাত্র একবারই দেখার সুযোগ পেতে পারেন।
বিজ্ঞানীরা এটিকে বলছেন, ‘গ্রেট কনজাংশন’ কিংবা ‘মহাসম্মিলন’ বা ‘মহাযুগলবন্দি’। এই মহাজাগতিক ঘটনাটিকে ‘ক্রিসমাস স্টার ২০২০’ নাম দিয়েছে নাসা।
উল্লেখ্য যে, সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ বৃহস্পতি সূর্যকে প্রায় ১২ বছরে মাত্র এক বার প্রদক্ষিণ করে। শনি গ্রহ যেহেতু সূর্য থেকে অনেক বেশি দূরে থাকে, তাই তার কক্ষপথের পরিধি বৃহস্পতির কক্ষপথের পরিধির চেয়েও অনেক বেশি। তাই সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে শনির সময় লাগে প্রায় সাড়ে ২৯ বছর। অর্থাৎ শনি গ্রহ যখন সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ শেষ করে, বৃহস্পতি তখন সুর্যকে দুবার প্রদক্ষিণ করে ফেলে। যে কারণে বৃহস্পতি প্রতি ২০ বছর অন্তর শনিকে অতিক্রম করে এগিয়ে যায়।
মূলত আমরা আকাশে গ্রহ-তারাদের দূরত্ব কিংবা গতি অনুধাবন করতে পারি না, শুধু বিভিন্ন সময় তাদের অবস্থান আমরা প্রত্যক্ষ করি। তাই পৃথিবী থেকে আমরা দেখতে পাই বৃহস্পতি ও শনি গ্রহের খুব কাছে এসে, তাকে পেরিয়ে আবার দূরেও চলে যাচ্ছে। তবে বৃহস্পতি ও শনি কতোটা কাছাকাছি আসছে, সেটি নির্ভর করে পৃথিবীর অবস্থানের ওপর। সেই অবস্থান অনুযায়ী, এই বছর ২১ ডিসেম্বর যখন বৃহস্পতি শনিকে অতিক্রম করে, তখন পৃথিবী থেকে দুটি গ্রহের দূরত্ব হয় খুব ন্যূনতম। সুতরাং তাদের ঔজ্জ্বল্যও হয় সবচেয়ে বেশি।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on ডিসেম্বর ৩০, ২০২০ 12:49 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার কুইবেকে কিছু তরুণ বরফে জমে যাওয়া হ্রদের নিচে ডুব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য সচেতন জীবনের অন্যতম শর্ত হলো সঠিক খাবার বেছে নেওয়া।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের দক্ষিণি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা তার জীবনের অভিজ্ঞতার…