দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যান্টার্কটিকা হতে বেরিয়ে আসা একটি অত্যন্ত বড় আইসবার্গ সমুদ্রের একটি আবাসিক দ্বীপের দিকে ধেয়ে আসছে। এই দ্বীপে ২০ লাখেরও বেশি পেঙ্গুইন বসবাস করে। যে কারণে প্রাণ হারাতে পারে ২০ লাখ প্রাণী!
এই আইসবার্গ বা হিমশৈল যদি দ্বীপের খুব কাছাকাছি চলে আসে তবে পেঙ্গুইনদের জীবন হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিশালাকার আইসবার্গের নাম হলো a68a। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে এই আইসবার্গ অ্যান্টার্কটিকার বৃহত্তম আইসবার্গ লারসেন-সি হতে পৃথক হয়ে যায়। সেই থেকেই এটি সাগরের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যখন এটি পৃথক হয়েছিল, তখন এর আয়তন ছিল ৫৬৬৪ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমানে এটির আকার ২৬০৬ বর্গকিলোমিটার।
জানা যায়, এই আইসবার্গ a68a অ্যান্টার্কটিকা হতে পৃথক হওয়ার সময় ২৮৫ মিটার পুরু ছিল। আইসবার্গটি বর্তমানে আটলান্টিক মহাসাগরে উপস্থিত দক্ষিণ জর্জিয়া দ্বীপের দিকেই এগিয়ে চলেছে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার সেন্টিনেল, ক্রিওস্যাট ও আমেরিকার আইএসস্যাট-২ উপগ্রহ দ্বারা এটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, প্রায় ২০ লাখেরও বেশি পেঙ্গুইন ও সিল দক্ষিণ জর্জিয়াতে বসবাস করে। ওই আইসবার্গ যদি দক্ষিণ জর্জিয়ার উপকূলে গিয়ে আটকে যায়, তবে এই লাখ লাখ পেঙ্গুইন ও সিলগুলো খাওয়া ও পানির সমস্যায় পড়তে পারে। কারণ হলো এটি সমুদ্রের এতো বড় অঞ্চলজুড়ে থাকবে যে পেঙ্গুইন ও সিলগুলো তাদের খাবার খুঁজেই পাবে না।
পুরো বিশ্বজুড়ে পরিবেশবিদরা আশঙ্কা করছেন যে, আইসবার্গ a68a এর জেরে দক্ষিণ জর্জিয়ার প্রাণীকূল শেষ হয়ে যেতে পারে। কারণ হলো এই সময়টি পেঙ্গুইন ও সিলের প্রজনন কাল। যে কারণে এই প্রাণীকুলের বড় বিপত্তি সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।