দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০১৩ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। গড় পাশের হার ৭৪.৩০ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫৮ হাজার ১৯৭ জন।
আজ সকালে গণভবনে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দেশের ৮ শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি এবং মাদ্রাসা বোর্ডের আলিম ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন।
দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এইচএসসি ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বারের মতো নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট এবং টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এই ফল পেয়ে যাবে।
এ বছর ১ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু হরতাল-ধর্মঘটের কারণে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শেষ হতে না পারলেও শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যেই এই ফল প্রকাশিত হলো। এবারের পরীক্ষায় শিক্ষাবোর্ডগুলোর সারাদেশে গড় পাশের হার ৭৪.৩০ শতাংশ। কৃতকার্য হয়েছে মোট পাশ ৭ লাখ ৪৪হাজার ৮৯১ পরীক্ষার্থী। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫৮ হাজার ১৯৭ জন।
ফলাফলের জন্য ভিজিট করুন শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল প্রকাশের ওয়েব সাইটে:
http://www.educationboardresults.gov.bd
এছাড়াও নিচের ফরমটি পূরণ করেও ফলাফল পেতে পারেন:
২০১৩ এইচএসসি পরীক্ষায় বোর্ডগুলোর পাসের হার:
- সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ৭৯.১৩
- রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৭৭.৬৯
- ঢাকা বোর্ডে পাশের হার ৭৪.০৪
- দিনাজপুর বোর্ডে পাশের হার৭১.৯৪
- বরিশাল বোর্ডে পাশের হার ৭১.৭৯
- কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৭১.২৯
- যশোর বোর্ডে পাশের হার ৬৭.৪৯
- চট্টগ্রাম বোর্ডে পাশের হার ৬১.২২ শতাংশ
এছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে আলিম পরীক্ষা পাশের হার ৯১.৪৬ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৮৫.০৩ শতাংশ।
মোবাইল থেকে রেজাল্ট পেতে:
এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার ফলাফল মোবাইলে পেতে নিম্নের পদ্ধতি অনুসরণ করুন:
এইচএসসি:
আপনার মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে যান এবং লিখুন:
HSC
For example : HSC Dha 123456 2013 এবং পাঠিয়ে দিন 16222 নম্বরে।
আলিম:
আপনার মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে যান এবং লিখুন:
Alim
For Example : Alim Mad 123456 2013 এবং পাঠিয়ে দিন 16222 নম্বরে
উল্লেখ্য, এবছর ২ হাজার ২৮৮ কেন্দ্রে ৭ হাজার ৮০৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়। গতবারের চেয়ে এবার ২৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৯২টি পরীক্ষা কেন্দ্র বেড়েছে। দেশের বাইরে বিদেশের পাঁচটি কেন্দ্রে ১৬৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ১ এপ্রিল থেকে ২৮ মে পর্যন্ত তত্ত্বীয় এবং ১ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে তার বেশ ব্যত্যয় ঘটে।