দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে আগামী ২ মার্চ তাৎক্ষণিকভাবে ভোটার হওয়ার সুযোগ দিবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনের উপজেলা, আঞ্চলিক, জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ে তথ্য প্রমাণ নিয়ে গেলে ভোটার হওয়া যাবে। এবার করোনা পরিস্থিতিতে দিবসটি স্বল্প পরিসরে পালন করা হবে। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আসদুজ্জামান এই তথ্য জানিয়েছেন।
করোনার কারণে জাতীয় ভোটার দিবস পালনে এবার বড় কোনও সমাবেশও থাকছে না। তবে ভোটারদের সচেতন করতে বাংলাদেশে টেলিভিশনসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ হবে ক্রোড়পত্র। আলোকসজ্জ্বিত করা হবে রাজধানী ঢাকার নির্বাচন ভবন।
এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান বলেন, ভোটার হওয়া মূলত একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে ভোটার দিবসে কেও ইসির অফিসে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ভোটার নিবন্ধন করতে পারবেন। নতুন ভোটারদের নাম, ঠিকানা এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই করা হবে। তারপরই তাদের ভোটার করা হবে। সে জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, দেশে জাতীয় ভোটার দিবস তৃতীয় বারের মতো পালন করা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী ২ জানুয়ারি হতে ১ মার্চ পর্যন্ত কম্পিউটার ডাটাবেইসে থাকা বিদ্যমান সব ভোটার তালিকা হালনাগাদও করা হবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় ভোটার দিবস ‘খ’ শ্রেণীভুক্ত একটি দিবস। প্রমোশন ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত দিবসগুলো ‘খ’ শ্রেণীতেই থাকে। সে জন্য ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এইসব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।