দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছেলের বিয়ের দিন মা খুঁজে পেলেন হারানো মেয়েকে! এমন একটি আজব ঘটনা ঘটেছে বাস্তব জীবনে! কীভাবে ফাঁস হলো সেই আসল ঘটনা?
কীভাবে ঘটলো এমন একটি ঘটনা? সেই হারানো মেয়ের সঙ্গেই তো বিয়ে হতে চলেছিলো তাঁর ছেলের! তবে কী গেম অফ থ্রোনসের পুনরাবৃত্তি হলো? ভাইবোনের মধ্যেই এতোদিন ছিলো প্রেমের সম্পর্ক! তারপরও বিয়েটা হলো! কীভাবে?
এমন একটি আজব ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে। বেশ ক’দিন ধরেই ছেলের বিয়ের তোড়জোড় চলছিল। ইতিমধ্যেই হবু বৌমাকে দেখেই ছেলের মা যেনো ভুত দেখার মতো করে চমকে উঠলেন! হাতের জরুলটা যেনো চেনা চেনা ঠেকছে তার! ছোটবেলায় তাঁর হারিয়ে যাওয়া মেয়ের হাতেও যে এমন জরুলই ছিল। মায়ের মন একইসঙ্গে আশঙ্কা এবং উল্লাসে নেচে উঠলো।
পাত্রীর অভিভাবককে বিষয়টি সম্পর্কে না জিজ্ঞেস করলেই নয়। “আচ্ছা আপনি সত্যি কথা বলুন তো, মেয়েটি আপনাদের দত্তক সন্তান নয় তো?” বেয়ানের প্রশ্ন শুনে চমকে উঠলেন পাত্রীর মা নিজেই। কীভাবে জানাজানি হলো ঘটনা! তারা তো এতোকাল বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। হ্যাঁ, এই মেয়ে তাঁর গর্ভজাত সন্তান নয়। কান্নায় জর্জরিত পাত্রীর অভিভাবক সব কথা খুলে জানালেন।
আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগের কথা। রাস্তার এক ধারে পড়েছিল একটি শিশুকন্যা। তাকেই যত্ন করে তুলে এনে নিজের মেয়ের মতো করে মানুষ করেছেন এতোদিন ধরে। পাত্রের মায়ের সংশয় তখন দূর হলো। এদিকে এতোদূর জানার পর বিস্ময়ে হকচকিয়ে যায় কন্যা নিজে। বিয়ের রোমাঞ্চ ভুলে আসল বাবা-মাকে খুঁজে পাওয়ার আনন্দে যেনো আত্মহারা হয়ে ওঠে সে। কী এক অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে! মা এবং মেয়ে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে এই সময় আনন্দাশ্রুতে ভিজিয়ে ফেলেন পরস্পরকে।
তবে তারপর কী হবে? বিয়েটা কী আদৌ সম্ভব হবে? জানাজানি হলে স্থানীয় মানুষজন কেওই তো সেটি মেনে নিতে পারবেন না।
সমাধান করলেন ছেলের মা নিজেই। জানালেন, ছেলেও তাঁর গর্ভজাত নন। কন্যা হারানোর যন্ত্রণা সামাল দিতে এই শিশুকে দত্তক নিয়েছিলেন তিনি। আজ তারই বিয়ের দিন। অতএব, নিজের মেয়ের সঙ্গে ধুমধাম করে বিয়ে দিলেন ওই পালিত পুত্রর। পাত্রপাত্রী দুজনেরই এখন দুজোড়া বাবা-মা। বিয়ে আসলে পরিবারেরও বন্ধন। সকলেই তখন উৎসবের জোয়ারে ভেসে গেলেন। ধুমধামের মধ্যে বিয়ে হয়ে গেলো।
তথ্যসূত্র: www.indiatimes.com
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।