দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। আবার এই সময় এসেছে রমজান মাস। এই গরমে রোজা পালনের সময় নানা রকম সমস্যা হতে পারে। তাই গরমের এই রোজায় যেসব বিষয়ে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে তা জেনে নিন।
গরমে রোজা পালনের সময় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা এবং নানা জটিলতা দেখা দেয়। একটু সচেতন হলেই বা সতর্ক থাকলে এসব জটিলতা হতে নিস্তার পাওয়া যাবে। গরমে রোজা পালনে প্রধানত যেসব সমস্যা হতে পারে তা থেকে নিস্তার পেতে কী করবেন? সে সেগুলো জেনে নিন।
পানিশূন্যতা
অতিরিক্ত গরমে রোজাদারদের সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা হতে পারে পানিশূন্যতার। এতে করে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই অবস্থায় ইফতার হতে সেহরি পর্যন্ত অবশ্যই বেশি করে তরল খাবার খেতে হবে। সেইসঙ্গে যতোটুক সম্ভব পানি পান করতে হবে। তবে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ও মাত্রাতিরিক্ত পানি পান করা মোটেও ঠিক না। এই সময় আপনি পানীয় জাতীয় ফল খেতে পারেন।
পেটে ব্যথা
গরমে রোজা থাকার কারণে শরীর ক্রমেই দুর্বল হতে থাকে। আবার নিয়মিত খাবারের অভ্যাস পাল্টে যাওয়ার কারণেও পেটের নানা ধরনের পীড়া যেমন বদহজম এবং পেট ফুলেও যেতে পারে। সে কারণে ব্যথাও হতে পারে। তাই শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এমন খাবার হতে বিরত থাকতে হবে। শরীর ঠিক রাখতে ভাজা কিংবা অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া হতে বিরত থাকতে হবে। এই ধরনের খাবার শরীরকে গরম করে ও শরীর হতে পানি বের করে দেয়। আপনাকে কম চর্বিযুক্ত খাবার খেতে হবে। শাকসবজি, ঢেঁকি ছাঁটা চাল, লাল আটার রুটি, সামুদ্রিক মাছ, জলপাইয়ের তেল, সূর্যমুখীর তেল ইত্যাদি খাওয়া খেতে পারেন।
মাথাব্যথা
রমজান চলাকালীন একটি বড় সমস্যা হলো মাথাব্যথা। সাধারণত দীর্ঘক্ষণ পানি না খেলে পা-মাথা ধরা এবং তার থেকে ব্যথা হয়। সে কারণে সেহরিতে চা-কফি কিংবা কোমল পানীয় জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, শুকনো এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকেও বিরত থাকতে হবে। পরে ইফতারের পর পরিমাণ মতো পানি খেয়ে নিতে হবে।
খাদ্যে বিষক্রিয়া
গরমে আবহাওয়ায় খাবার দ্রুত পচে যেতে পারে। এতে করে ফুড পয়জনিং বা খাদের বিষক্রিয়ার সমস্যাও হতে পারে। তাই ইফতার কিংবা সেহরির সময় বাইরের খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। অবশ্যই গরম গরম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। যারা খাদ্য রান্না এবং সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত, তারা কতোটুকু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলছে, সেই বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।