দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার এমন এক খবর পাওয়া গেছে যা শুনে বিস্ময়ের আর শেষ থাকে না। এবার মানুষের ব্যবহৃত মাস্ক দিয়েই তৈরি হচ্ছে বিছানার তোশক!
গোটা বিশ্বে করোনা আবির্ভাবের পর হতেই বিশ্ববাসীর কাছে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। এবার খবর এসেছে যে, ভারতে দেখা গেছে মানুষের ব্যবহৃত সেইসব মাস্ক দিয়েই বানানো হচ্ছে গদি বা তোশক! রাস্তা এবং ময়লার ভাগাড় হতে কুড়িয়ে নেওয়া মাস্ক দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এইসব তোশক! তবে এই তোশক বানানোতে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের মহারাষ্ট্রে সম্প্রতি এমন একটি অসাধু চক্রের সন্ধান পেয়েছে স্থানীয় পুলিশ। মহারাষ্ট্রের জলগাঁও এলাকার একটি কারখানায় তুলার সঙ্গে ওসব মাস্ক মিশিয়ে গদি, পাপোস এবং বিছানার তোষক বানানো হচ্ছে। খবর পেয়ে ওই চক্রের সন্ধানে নামে স্থানীয় পুলিশ। তারপর কারখানার মালিক আমজাদ আলী মনসুরিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনার পর সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় করোনাবিধি মেনে তখনই মাস্কের স্তূপে আগুন জ্বালিয়ে দেয় পুলিশ। কারখানা মালিক আমজাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে চক্রের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে স্থানীয় পুলিশ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।