দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের জীবনে বিয়ে একটি স্বাভাবিক ঘটনা। সমঝোতা ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে যা ঘটতে পারে। বা এটিকে একটা দেনাপাওনার চুক্তিও বলা যেতে পারে।
বিয়ের অর্থই হলো এমন একটি দায়িত্ব যেখানে দৈহিক, মানসিক, বংশধারা ও আত্মিক- এই ৪টি মৌলিক চাহিদাকে ভারসাম্যপূর্ণভাবে সমন্বিত করা হয়ে থাকে।
বিয়ের সাথে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করা হলো:
# বিয়ে সম্পর্কে বলতে গিয়ে অনেকেই বলেন বিয়ে হচ্ছে ভাগ্যের বিষয়। তবে বাস্তবিকে একটি কথা হলো বিয়ের ক্ষেত্রে ভাগ্যের ওপরে নির্ভর করতে নেই। কর্মের ওপরেও নির্ভর করতে হয়। বিয়ে নির্ভর করে প্রস্তুতি ও প্রচেষ্টার ওপর। একটা ভালো চাকরি কিংবা ভালো রেজাল্টের জন্যে যেমন একজন প্রাণান্ত চেষ্টা করেন, পরিশ্রম করেন; ঠিক তেমনি বিয়ের জন্যেও চেষ্টা করতে হবে। তবে অসুবিধাটা হলো যখন বিয়ের ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা থাকে না, থাকে শুধুই কল্পনা। তারপর কল্পনার সঙ্গে গরমিল হলেই ভাগ্যকে দোষারোপ করা হয়। তাই বিয়ের বিষয়ে অবশ্যই আগে থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে আপনি কেমন জীবনসঙ্গী চান। সেইসঙ্গে নিজের যোগ্যতাকেও বিকশিত করতে হবে। অর্থাৎ নিজের যা যোগ্যতা সেই অনুসারে পাত্র-পাত্রী দেখতে হবে।
# নানা ধরনের কাল্পনিক চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরে তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিয়ের ক্ষেত্রে সুন্দর মুখই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। যোগ্য মানুষও দেখতে হবে। যাকে বিয়ে করবেন সে ছেলে হোক কিংবা মেয়েই হোক তার গুণ কতোটুকু রয়েছে সেটি দেখা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
# বিয়েতে দেনমোহর কিংবা কাবিননামা আর্থ-সামাজিক অবস্থান অনুসারে ও যুক্তিসঙ্গতভাবেই হওয়া দরকার। কোনোভাবেই দেনমোহরটা যেনো জুলুম না হয়ে যায়। এটি সবসময় ঠিক করতে হবে সামর্থ অনুসারেই। দেনমোহরের পাশাপাশি আরেকটি যে বিষয় উঠে আসে সেটি হলো যৌতুক। শ্বশুরবাড়ি হতে যৌতুক নেওয়াটা এক ধরনের কাপুরুষতা বলা যায়।
# মানুষের জীবনে বিয়ে সারাজীবনের একটি বিষয়। কিছু সময়ের দেখা, কথা বলার ব্যাপার কিন্তু নয়। ম্যারেজ মিডিয়া হতে প্রাপ্ত সিভি দেখেই বিয়ে করে ফেলা মোটেও ঠিক নয়। বরং সেই সিভিগুলোর ব্যাপারে ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে, যাচাই করে তারপরই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। সেজন্যেই বিয়ে সমসামাজিক, সমসাংস্কৃতিক ও সমআর্থিক পরিমণ্ডলে হওয়া উচিত। তখন পাত্র কিংবা পাত্রী সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়।
# বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ের দুজনের দুজনকে পছন্দ থাকতে পারে তবে ছেলে হোক বা মেয়েই হোক- মা-বাবার দোয়া নিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সত্য গোপন করে কখনও কাওকে বিয়ে করা মোটেও ঠিক না। ছেলে কিংবা মেয়ে মাদকাসক্ত, ভার্চুয়াল ভাইরাসে আক্রান্ত কিংবা মানসিক সমস্যা রয়েছে এমন তথ্য গোপন করে বিয়ে দেওয়া একটি অপরাধ।
# বিয়ের ব্যাপারে তরুণ-তরুণীরা নিজে না দেখে কখনও বিয়ে করবেন না। ছেলেই হোক অথবা মেয়েই হোক- মা-বাবারা যতোই দেখুক, আপনি নিজে না দেখে বিয়ের সিদ্ধান্ত কখনও নেবেন না। কারণ সংসার যার সঙ্গে করবেন অবশ্যই তার সঙ্গে আগে দেখা সাক্ষাত করে বুঝে নিতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।